শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঐতিহ্যবাহী শকুনী দীঘি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি দর্শনীয় স্থান

কে এম, রাশেদ কামাল, মাদারীপুর : মাদারীপুর জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি দর্শনীয় স্থান শকুনী দীঘি। এটি মাদারীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। জনশ্র”তি রয়েছে ১৯৪৩ সালে মাদারীপুর শহরকে প্রমত্তা আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে নতুন করে স্থাপনের জন্য দক্ষিণে সরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ দীঘিটি খনন করা হয়। উড়িয়া এবং বিহারী শ্রমিকেরা প্রায় এক বছরের বেশী সময় ব্যয় করে এ দীঘিটি খনন করে। ফলে মাদারীপুর নতুন শহরটি নীচু ভূঁমি, উঁচু ভূমি করে মানুষের বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। অন্য দিকে দীঘিটি শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তোলে। দীঘিটির মিঠা পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মাছ। দীঘির চারপাশে রয়েছে মাদারীপুর পুরানো কোর্ট ভবন যা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ, শিশু একাডেমী, টেনিস ক্লাব, স্বাধীনতা অঙ্গন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, শহীদ মিনার, সার্কিট হাউস, মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমীসহ অনেক প্রতিষ্ঠান যা শহরের সৌন্দর্যকে মনোরম করে তুলছে। প্রতিদিন খুব ভোর বেলায় শহরের অধিকাংশ মানুষ দীঘিটির চারপাশে পরিভ্রমণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য চেষ্টা করে। অনেক জেলা থেকে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন জনেরা দীঘিটি দেখার জন্য ছুটে আসেন। কিন্তু এ দীঘিটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। কতিপয় স্বার্থান্বেশী মহল দীঘিটি ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। গড়ে ওঠা দোকানপাট দীঘিটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ম্লান করেছে। দীঘিটি আধুনিকায়ন করে এটি একটি মিনি পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া যেতে পারে। যা মাদারীপুর শহরের সৌন্দর্যকে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। শকুনী দীঘিটি মাদারীপুর তথা এই দক্ষিণ অঞ্চলের গৌরব। এটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা না করে এ দীঘিটির চারপাশে শিশু পার্ক স্থাপন করে এটিকে পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তোলা উচিত বলে অনেকে মনে করেন। এতে একদিকে মাদারীপুরের সুনাম যেমন ছড়িয়ে পড়বে তেমনি মাদারীপুর অর্থনৈতিকভাবেও সচল হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ