দলবদলে ক্লাবগুলো খরচ করেছে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার : ফিফা

সর্বশেষ দলবদলের সময় সারা বিশ্বের ক্লাবগুলো ব্যয় করেছে ৪.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তন্মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ ব্যয় করেছে ইউরোপের শীর্ষ ৫টি লীগের ক্লাবগুলো। বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এবারের দল বদলের সময় বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে ভেড়ানো বাবদ প্যারিস সেন্ট জার্মেনের (পিএসজি) ২২২ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করার ঘটনাটি শিরোনাম হলেও এ সময় ইউরোপের অন্য ক্লাবগুলোও তাদের দলবদলের অতীত রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফিফা জানায়,‘ ১লা জুন থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১৭হাজার ৫৯০টি আন্তর্জাতিক দলবদল সম্পন্ন হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৪.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নেইমারের পর মোনাকো থেকে বিষ্ময় বালক কিলিয়ান এমবাপেকেও দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। বছরব্যাপী ধারের খেলোয়াড় হিসেবে তাকে দলভুক্ত করলেও ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে তাকে চুক্তিবদ্ধ করানোর শর্ত সেখানে জুড়ে দেয়া হয়েছে। পিএসজির এই বিশাল বাজেটের দলবদলের প্রেক্ষিতে এক লাফে ফ্রান্স পৌছে গেছে আন্তর্জাতিক দলবদলের সবচেয়ে বেশী অর্থ ব্যয় করা দেশগুলোর কাতারে। সেখানকার ক্লাবগুলো সর্বমোট ব্যয় করেছে ৬০৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত মৌসুমের তুলনায় এই পরিমান ২৫০ শতাংশ বেশী। ৫বারের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ এবং বার্সেলোনাও এবারের গ্রীস্মে দলবদলের ক্লাব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। যথাক্রমে কোরেন্টিন টোলিসো এবং উসমান ডেমবালেকে দলে ভেড়ানোর জন্য তারা দলবদলের ক্লাব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। ফিফার রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র ইউরোপের শীর্ষ ৫টি লীগের ক্লাবগুলো এবারের দল বদলের সময় ব্যয় করেছে ৩.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেটি ভেঙ্গে দিয়েছে দলবদলের সব অতীত রেকর্ডকে। ফিফার রিপোর্টে আরো বলা হয়,‘ ইংল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালীর ৫টি লীগের ক্লাবগুলো বড় অর্থ ব্যয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।’ তন্মধ্যে শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের ক্লাব গুলো ব্যয় করেছে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা অন্য যে কোন দেশের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। ইন্টারনেট।