রাজশাহী আ’লীগের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ বিএনপি’র
রাজশাহী অফিস : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার রাজশাহী রিটার্নিং অফিসার বরাবর এই অভিযাগপত্র দেয়া হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ জুলাই রাত ৮টার সময় নগরীর ৪নং ওয়ার্ড বহরমপুর (বুলনপুর) এলাকায় সিহাবের বাড়ীর পাশে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ধানের শীষ প্রতীকের ফেস্টুন ও পোস্টারবাহী পিকাআপ ভ্যানের উপর নৌকা প্রতীক সমর্থিত কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে (গাড়ি নং- রাজ মেট্রো-ন-১১০১২২) এতে বিএনপি প্রার্থীর ফেস্টুন ও পোস্টার নষ্ট হয় এবং পিকআপ ভ্যানের লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে যায়। গত ১০ জুলাই ২০ নং ওয়ার্ডে বেলদারপাড়ায় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা বিএনপি প্রার্থী বুলবুলের ধানের শীষ প্রতীকের টানানো ফেস্টুন ভাংচুর করে এবং ঝুলানো পোস্টার ছিড়ে ফেলে। একই দিন রাত ২টা হইতে ভোর ৬টা পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীকের লাগানো ফেস্টুন, বালিয়াপুকুর মোড় থেকে রুয়েট ও ভদ্রার মোড় পর্যন্ত সকল ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়। এ দিন দিবাগত রাতে অলকার মোড় থেকে আলুপট্টির মোড় পর্যন্ত এবং রাজশাহী সিটি কলেজ গেট হইতে সার্ভে ইনস্টিটিটিউট পর্যন্ত লাগানো ধানের শীষ প্রতীকের সকল ফেস্টুন নৌকা সমর্থিত কর্মীরা খুলে ফেলে। এদিন ৬ নং ওয়ার্ডে জি.পি.ও’র সামনে, ১৯ নং ওয়ার্ড ছোট বনগ্রাম এলাকায়, ২৭ নং ওয়ার্ড বালিয়াপুকুর এলাকায় ও ৩০নং ওয়ার্ড বিনোদপুর বাজারে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার মাইক এর কর্মীদের চড়-থাপ্পড় মারা হয় এবং প্রচার কাজে বাধা দেয়া হয়। এছাড়া গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় পুলিশ ভ্যানের উপস্থিতিতে ১৩ নং ওয়ার্ডে শহীদ নজমুল হক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণালীর পিছনের মোড় পর্যন্ত রাস্তায় ধানের শীষ প্রতীকের কোন প্রকার ফেস্টুন ও পোস্টার লাগাতে দেয়া হয়নি এবং বিএনপি কর্মীদের লাঞ্ছিত করা হয়।
এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু অভিযোগ করেন, প্রচারণা শুরুর দিন মঙ্গলবার রাতেই বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে ফেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা। এছাড়াও মঙ্গলবার রাতে বিএনপি’র একটি পিকআপ ভ্যানে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিএনপি’র ৫ জন কর্মীকে আটক করা হয়। তারা হলেন, শফিকুল ইসলাম, জিষান, জব্বার, শাওন ও বুলবুল। এদের বিরুদ্ধে পরে নাশকতার মামলা দেয়া হয়। এদিকে রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আমির আলী বলেন, ‘গ্রেফতারের অভিযোগের বিষয়ে মহানগর পুলিশকে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে নির্বাচনী আরচণবিধি এখন পর্যন্ত ভালোই আছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। তারপরেও অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’
লেমিনেটিং পোস্টারে সয়লাব : রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীক সম্বলিত লেমিনেটিং করা পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী। ডবল ডিমাই সাইজের এই পোস্টর নগরীরর ৩০টি ওয়ার্ডেই দড়ি দিয়ে ঝুলানো হয়েছে। সেই সাথে ডিজিটাল ফেস্টুনও অলি-গলি আনাচে-কানাচে ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। গতকাল ১০ জুলাই ছিল প্রতীক বরাদ্দের দিন। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগেই সকাল থেকেই এসব পোস্টার ঝুলাতে শুরু করে দলীয় কর্মীরা। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীক সম্বলিত লেমিনেটিং করা ৪০ হাজার লেমিনেটিং করা পোস্টার তৈরি করা হয়েছে। পলিথিন লেমিনেটিং এসব পোস্টার ভোটের পরে পরিবেশ দুষণ করবে বলে মন্তব্য নগরবাসীর।