শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জুলুমবাজ অত্যাচারী সরকারের পতন ঘটানো হবে

* গণহত্যাকারী সরকারের কবল থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়-নাজির আহমাদ

স্টাফ রিপোর্টার : ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জুলুমবাজ অত্যাচারী সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, এই সরকার একটি জুলুমবাজ, দুর্নীতিবাজ খুনী সরকার। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ থেকে তারা মুক্তি চায়। তিনি বলেন, আমাদের দাবি- দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তাদের বলব, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণই আপনাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ দেশের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রাক্তন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ওলামা-মাশায়েখ, ব্যবসায়ী ও কৃষিবিদসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলের উইন্টার গার্ডেনে  ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন। এই ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন, বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ।

ইফতারের আগে স্বাগত বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমাদ তার বক্তব্যে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের প্রতিহিংসামূলক চরম নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ সরকারের নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য দেশবাসী ১৮ দলের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আলেমদের ওপর গণহত্যাকারী সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা জনগণের চাওয়া-পাওয়ার পূরণের জন্য রাজনীতি করি। এই সরকার একদিকে ক্ষমতায় আসার পর থেকে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন করছে। অন্যদিকে সম্পদ লুটপাট করছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজ এই জুলুমবাজ ও অত্যাচারী সরকারকে বিদায় করতে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আজ দেশের কোনো পেশার মানুষ নিরাপদ নয়। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগের গু-াবাহিনী হামলা চালিয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান অত্যাচারিত সরকারের চেহারা।

নির্দলীয় সরকারের দাবির যুক্তিকতা তুলে ধরে ১৮ দলের শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। কিন্তু এই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ বাহিনীসহ কোনো প্রতিষ্ঠানই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের অধীনে কোনোভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আগামীতে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন চাই আমরা।

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকা। ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণের আশা আকাক্সক্ষা পূরণ করা। দেশবাসীকে এই হত্যাকারী খুনী সরকারের হাত থেকে রক্ষা করা। দেশবাসীর উদ্দেশে সাবেক এই তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই এই মাহে রমযানে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যাতে এই সরকারের অত্যাচার থেকে মানুষ রক্ষা পায়।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত আজকের এ ইফতার মাহফিলে আপনাদেরকে খোশ আমদেদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, পবিত্র রমযান কুরআন নাজিলের মাস। মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের পথনির্দেশিকা রয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে। কুরআনের আলোকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় জীবন গড়ে তোলার জন্য তাকওয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে রমযানের সাওম বা রোজা ফরয করা হয়েছে। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন তাকওয়াবান ব্যক্তি গঠন। তাকওয়া শুধু মনে আল্লাহর ভয় পোষণের নাম নয়। বাস্তব জীবনে আল্লাহর ভয়ের প্রতিফলন ঘটানোই তাকওয়া।

তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতি আজ এক কঠিন সংকটে নিপতিত। রাজনৈতিক নিপীড়ন, গণহত্যা, গণগ্রেফতার, গণনির্যাতন, মানবাধিকার লংঘন ও সংবিধান বিরোধী ভূমিকা বর্তমান সরকারের নিত্যদিনের কর্মকা-ে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ সরকার আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে ৯০ ভাগ মানুষের দাবি কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তথাকথিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের নামে একের পর এক জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ ঘোষণা করছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ, যুদ্ধাপরাধ আইন বিশেষজ্ঞগণ ১৯৭৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টকে একটি কালো আইন এবং এই কালো আইনের আওতায় গঠিত ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানদ- সম্পন্ন নয় বলে মত ব্যক্ত করেছেন। বিশ্ববাসী চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। সরকার সেসব মতকে উপেক্ষা করে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিচার বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিচারের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ সরকার জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এই বিচার নামক নাটকের আয়োজন করেছে। এ সরকারের আমলে দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ নির্যাতিত হয়েছে। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণার পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসলে সরকার গণহত্যায় মেতে উঠে। কয়েক দিনের মধ্যে ২৩১ জন মানুষকে হত্যা করা হয়। ৫ মে দিবাগত রাতে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে গণহত্যা করে এই সরকার।

তিনি বলেন, পবিত্র রমযান মাসেও  সরকার জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। মাত্র ৪ দিনে ১০ জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ সরকার একটি নির্যাতক সরকার। জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, সরকারের গণহত্যা, গণগ্রেফতার ও গণনির্যাতন থেকে দেশের মানুষ মুক্তির আশায় ১৮ দলীয় জোটের দিকে তাকিয়ে আছে। ১৮ দলীয় জোটের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে দেশ ও জাতি জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেতে চায়।

তিনি বলেন, পবিত্র রোজার মাসে কষ্ট করে আপনারা এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হয়ে আমাদেরকে অনুগৃহীত করেছেন সে জন্য আমরা আপনাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাাণ কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

সূচনা বক্তব্যে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি মহল প্রচার করছে সরকারের সাথে নাকি জামায়াতের আঁতাত হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে সরকার আমাদের শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে, শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে ফাঁসির আদেশ দিচ্ছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটক রেখে নির্যাতন করছে তাদের সাথে আঁতাতের প্রশ্নই উঠে না।

 

এই সরকার জালিম সরকার। তিনি বলেন, এই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে। আর সেই আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।   

মঞ্চে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম নাজির আহমেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি’র চেয়ারপাম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপি’র সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ এর চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের একাংশের চেয়ারম্যান এএইচএম কামরুজ্জামান খান, অপর অংশের এডভোকেট নুরুল হক মজুমদার, ইসলামিক পার্টির সভাপতি এডভোকেট আবদুল মোবিন, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুুব হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম, ডিএল’র সাইফুদ্দিন মনি, খেলাফত আন্দোলনের আশীর ও হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, নেজামী ইসলামের চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, পিপলস লীগের সভাপতি শেখ খাজা গরীবে নেওয়াজ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ নেতারা একই টেবিলে বসে ইফতার করেন।

এই ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এমপি, সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ার এমপি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, রাশেদা বেগম হীরা, শাম্মী আখতার, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, মহিলা দলের সেক্রেটারি মিসেস শিরিন সুলতানা, নবনির্বাচিত মেয়রের মধ্যে বরিশালের আহসান হাবিব কামাল, গাজীপুরের অধ্যাপক এম এ মান্নান প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে কবি আল মাহমুদ, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এজে মোহাম্মাদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এড. জয়নাল আবেদীন, বিএফইউজের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সেক্রেটারি সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপিকা তাজমেরী এস এ ইসলাম, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মামুন, ঢাকা বারের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম মিয়া, ডিইউজের মাহসচিব বাকের হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক সাদেক খান, মাহফুজ উল্লাহ ও শফিক রেহমান, সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান, আনহ আখতার হোসেন, এএসএম সোলায়মান চৌধুরী, অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদুল হাসান, দৈনিক সংগ্রামের সহকারী সম্পাদক নূরুল আমীন, দিগন্ত টেলিভিশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমান মঞ্জু, অধ্যাপক আমিনুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক ওমর আলী, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, জাতীয় মুক্তি যোদ্ধা পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন ও মহাসচিব মোহাম্মদ ইকবাল, ডা. আবদুল মজিদ খান, ড্যাবের মহাসচিব ডা. জাহিদ, ডা. শফিকুর রহমান, ডা. রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী। কবি আবদুল হাই শিকদার,  সাংবাদিক নেতা  এম এ আজিজ, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সেক্রেটারি  ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, বিশিষ্ট আইনজীবি এডভোকেট কামাল উদ্দিন, এডভোকেট তাজুল ইসলাম, ১৮ দলীয় জোটের  শাহাদাত হোসেন সেলিম, আবুল হাসনাত আমিনী, আলমগীর মজুমদার, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এম এম আমিনুর রহমান, এডভোকেট আবদুর রকিব, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বিজেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাহ উদ্দিন মতিন, হেফাযতে ইসলামের চট্টগ্রাম বিভাগের আমীর মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রামের মীরেশ্বরাই এর পীর মাওলানা আবদুল মোমেন নাসেরী, শর্শিনার পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এড. মিজানুর রহমান, এড. আবদুর রাজ্জাক, হেফাজত নেতা মুফতি নেতা তৈয়ব, মাওলানা আহমাদুল্লাহ কাসেমী, নাগরিক ফোরাম চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদ, প্রফেসর ডা. মোঃ মমতাজ হোসেন প্রমুখ অংশ নেন। 

জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড. নজরুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম পাটওয়ারী, এড. জসিম উদ্দিন সরকার, সাইফুল আলম খান মিলন, মোঃ আবদুর রব, ডা. সৈয়দ আবদল্লাহ মোঃ তাহের, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম এমপি, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম ও মুঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ