শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কেসিসিতে ১৫ জনকে মোটর সাইকেল জমা ও ২৭ জনের তেল সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ

খুলনা অফিস : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) তাদের যানবাহনে জ্বালানী তেল ব্যবহারে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও মোটর সাইকেল ব্যবহার নি¯প্রয়োজন এমন ২৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জমার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ১৫ জনকে  মোটর সাইকেলসহ তেল ও ১২ জনকে শুধু জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি কর্পোরেশনের সচিব এম ইদ্রিস সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ক্ষুব্ধ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেসিসি’র জ্বালানী তেল ও মোটর সাইকেল প্রয়োজনের বাইরে অহেতুক ব্যবহার হচ্ছে। এ অভিযোগে কর্পোরেশনের যানবাহন (গ্যারেজ) শাখার আওতাধীন যানবাহনে জ্বালানী তেল ব্যবহারে শৃঙ্খলা ফিরে আনার জন্য কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালের ৫ নবেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়। কেসিসি’র ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত হোসেনকে কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগে সত্যতা পান। কমিটি সে অনুযায়ী প্রাধিকার বহির্ভূত কর্মচারিদের অনুকূলে কেসিসি কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৫টি মোটর সাইকেল ও তার জ্বালানী তেল সরবরাহ এবং ১২টি মোটর সাইকেলে শুধু জ্বালানী তেল সরবরাহের আদেশ বাতিল করার সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশ অনুযায়ী গত ২৭ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ মোটর সাইকেল জমা ও জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধের আদেশ দেন। একই সাথে ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে সচল অবস্থায় কেসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর (যান্ত্রিক) নিকট যানবাহন (গ্যারেজ) শাখায় জমা দেয়ার জন্য মোটর সাইকেল ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

কেসিসি’র সচিব এম ইদ্রিস সিদ্দিকীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, ‘বিগত দিনে প্রাধিকারভুক্ত নয় এমন অনেক কর্মচারিকে অনৈতিকভাবে মটর সাইকেল ও জ্বালানী তেল দেয়া হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ মতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যারা এ সুবিধা পাবার যোগ্য তারা পাবেন। যাদের পাওয়া উচিত নয় তারা পাবেন না, এটিই নিয়ম। এখন যাদের মোটর সাইকেল বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে, পরবর্তীতে কেসিসি’র প্রয়োজনে তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে পুনরায় মোটর সাইকেল দেয়া হবে। তবে তা সময়ের ব্যাপার।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ