বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা আবু বকর মুহাম্মদ সিদ্দীকুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘অস্ত্রের ঘাঁটি খতীব মঞ্জিল’ শিরোনামে প্রকাশিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক খতীব আবু বকর মুহাম্মদ সিদ্দীকুল্লাহ ও তার নির্মিত বাসা খতীব মঞ্জিলকে জড়িয়ে যেসব মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদে বলা হয়েছে ২০০২ সালে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। বরং বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে, শেষ হয় ২০০৮ সালে। অতপর একজন কেয়ারটেকারের তত্ত্বাবধানে বাড়িটি ভাড়া দেয়া হয়। কোনো ছাত্র সংগঠনকে বাড়িটি ভাড়া দেয়া হয়নি। আমি একজন নিরীহ আলেমে দ্বীন, বর্তমানে অসুস্থ ও চিকিৎসাধীন। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল করিম কর্তৃক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করেছি। এ সুদীর্ঘ কর্ম জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভাইস চ্যান্সেলর, প্রশাসন, ছাত্র, শিক্ষক ও মুসল্লিগণের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক বজায় ছিল। কারো সঙ্গে কখনো কোন মনোমালিন্যও হয়নি।
ছাত্রশিবির বা কোন ছাত্র সংগঠনের নিকট আমার বাড়িটি কখনো ভাড়া দেয়া হয়নি। যেহেতু মসজিদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত আমার একটি বাসা আছে এবং আমি পরিবারসহ ঐ বাসায় অবস্থান করি তাই ২০০৮ সাল থেকে একজন কেয়ারটেকারের তত্ত্বাবধানে আমার বাসাটি ভাড়ায় চালানো হচ্ছে। আমার এ বাসার আশেপাশে ব্যক্তি মালিকানায় আরো কয়েকটি বাসা ও কটেজ আছে এবং ব্যাচেলর/ছাত্রদেরকে ঐগুলো ভাড়া দেয়া হয়। প্রত্যেক বাসার মালিক আলাদাভাবে তাদের বাসা ভাড়া দিয়ে থাকেন। খতীব মঞ্জিল এবং এর আশেপাশের বাসা ও কটেজগুলো সমতল ভূমিতে নির্মিত। এর সাথে লাগানো কোন পাহাড় নেই। অথচ সংবাদে বলা হয়েছে ভবনটি পাহাড় ঘেরায় সুরক্ষিত এবং ভবনটির সুরক্ষার জন্য আশেপাশে আরও ভবন ও কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অবাস্তব ও অলীক। এ ধরনের জনবহুল এলাকায় নির্মিত বাসায় অস্ত্র রাখা বা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটি আমার এবং আমার পরিবারের দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার একটি অনৈতিক এবং গভীর ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করছি। এ সংবাদ দেখে আমি খুবই মর্মাহত এবং এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন আমার প্রতি জুলুমের শামিল।
সমকাল পত্রিকার রিপোর্টে কেন্দ্রীয় মসজিদের বর্তমান ইমাম মাওলানা আবুল হাসান মু. নাঈমুল্লাহর নিয়োগ সম্পর্কেও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পিতা মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে বর্তমানে কেন্দ্রীয় মসজিদে চাকরি করছেন তার বড় ছেলে মাওলানা নাঈমুল্লাহ। এ অভিযোগটিও সঠিক নয়। বরং ২০০১ সাল থেকে আজ প্রায় ১৪ বছর যাবত মাওলানা নাঈমুল্লাহ কমিটির সুপারিশে তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আবদুল মান্নান এবং প্রোভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আবু ইউসুফ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৩ সালে আমার অবসর নেয়ার পর থেকে মসজিদ কমিটির সুপারিশে ও চবি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে মাওলানা নাঈমুল্লাহ খতীবের দায়িত্বও পালন করছেন। কাজেই আবুল হাসান মুহাম্মদ নাঈমুল্লাহর নিয়োগের সঙ্গে কোন ছাত্র সংগঠনের পছন্দ অপছন্দের সম্পর্ক স্থাপন করা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইহা সত্য ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতার খেলাপ এবং দুরভিসন্ধিমূলক। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  প্রেস বিজ্ঞপ্তি 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ