শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে রুশ সৈন্য : ন্যাটো

ইউক্রেন থেকে এএফপি : ন্যাটোর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ফিলিপ ব্রিডলাভ বলেছেন, চলতি সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্য প্রবেশ করেছে।
ন্যাটো প্রধান জেন স্টোলটেনবার্গ সৈন্য ফিরিয়ে আনতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্যার্থে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সেনা পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে ইউরোপীয় ওএসসিই পর্যবেক্ষণ মিশন এ পরিস্থিতিকে প্রকৃত ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বুধবার ইউক্রেনের শিল্প এলাকা দোনেতস্কের আশেপাশে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এলাকাটি বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে।
এছাড়া ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অপর শহর লুহানস্কের কাছ থেকেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে ইউক্রেনের এক সৈন্য নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে।
পর্যবেক্ষণ মিশন দ্য অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) বলছে, তারা সম্প্রতি ওই এলাকায় অচিহ্নিত সেনা কনভয় দেখেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার ব্রিডলাভ বলেন, রুশ ট্যাংক ও কমব্যাট বাহিনীকে ওই এলাকায় দেখা গেছে।
বুলগেরিয়া সফরকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে শক্তি আরো জোরদারই রুশ সৈন্য মোতায়েনের লক্ষ্য হতে পারে।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে ন্যাটো প্রধান বলেন, যে কোনভাবে সেনা মোতায়েনের অর্থ হলো অস্ত্রবিরতিকে হুমকির মুখে ফেলা যা গত ৫ সেপ্টেম্বরে মিনস্কে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, ব্রিডলাভের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।
রাশিয়া অব্যাহতভাবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীদের সহায়তায় সেনা ও সরঞ্জাম পাঠানোর কথা অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু বিদ্রোহীরা বলছে রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সাহায্য করছে।
উল্লেখ্য এপ্রিলে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমনে ইউক্রেন সরকার পূর্বাঞ্চলে সেনা পাঠানোর পর এ পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ