মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বরিশালে ট্রাকের ধাক্কায় জেএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

বরিশাল অফিস : বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় জে এস সি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০ টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বৈদ্যপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুল ছাত্রী নাদিরা আক্তার (১৪), সে নগরীর সাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবং নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা মিয়ার মেয়ে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, নিহত স্কুল ছাত্রী নাদিয়া আক্তারের জেএসসি পরীক্ষা থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে অটো-রিক্সায় করে কাশিপুর হাইস্কুুলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। অটোরিক্সাটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বৈদ্যপাড়ার এসে পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই স্কুল ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। এদিকে এ ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার গোলাম কবির। তবে তারা হাসপাতালে ভর্তি হননি। এদিকে ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে।
মাইক্রোবাসসহ ৪ অপহরণকারী আটক
বরিশাল নগরী থেকে মাইক্রোবাসসহ ৪ অপহরণকারীকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে রাজধানী থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসা দুই যুবককে। উদ্ধারকৃত দুই যুবক হলেন, রাজধানীর মোহম্মদপুর আদাবর এলাকার জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে আশিক কবির (২৫) ও নারিন্দা এলাকার মুজিবর ভূঁইয়ার ছেলে আল আমিন (২৭)। বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাদের নগরীর বাংলাবাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটক অপহরণকারীরা হলেন, পটুয়াখালির বাউফল উপজেলার আব্দুল লতিফ মাতুব্বরের ছেলে মো. শাকিব হাসান (২৫), এমদাদ আলী খানের ছেলে শাহ ইমাম হোসেন (২৭), মো. আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সিয়াম হোসেন রাজিব (২৪) এবং বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠি এলাকার আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে আবিদ আল আমিন (২০)। বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আজাদ রহমান জানান, অপহরকারীরা তাদের সাথে ভ্রমণে গিয়ে ছবি তোলার জন্য বেশ কিছুদিন আগে ফটোগ্রাফার চেয়ে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেয়। সেই অনুযায়ী রাজধানীর দুই ফটোগ্রাফার তাদের সাথে যোগাযোগ করে বুধবার লঞ্চযোগে বরিশাল চলে। কথা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুই ফটোগ্রাফারকে বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাট এলাকার আবাসিক হোটেল ফাহিমে নিয়ে একটি রুমে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। পরে বেলা ১২টার দিকে অপহরণকারীরা বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন নদী ও ভ্রমণ স্পটগুলোতে ঘুরে দুই ফটোগ্রাফার দিয়ে তাদের ছবি তোলায়। পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের হোটেলে নিয়ে এসে জিম্মি করে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। দাবিকৃত এ টাকা বুধবার রাতের মধ্যে না দিলে তাদের হত্যার কথা বলে স্বজনদের হুমকি দেয়া হয়। এতে অনেকটা ভীত হয়ে অপহৃত আশিক কবিরের পিতা ২৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের একটি বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে অপহরণের বিষয়টি অপর ফটোগ্রাফার আল আমিনের পিতা নারিন্দা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। নারিন্দা থানা পুলিশ বিষয়টি বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে অবহিত করে। তাৎক্ষণিক অপহরণকারীদের খোঁজে নামেন বরিশাল ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. আজাদ রহমানসহ ৫ সদস্যের একটি টিম। টাকা পাঠানো ওই বিকাশ নাম্বারটিকে ট্রাকিং করে অপহরণকারীদের অবস্থান সনাক্ত করে ডিবি পুলিশ। অপহৃত দুই ফটোগ্রাফারকে হোটেল থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে কুয়াকাটা নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ