শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি আয় কমেছে -বাণিজ্য মন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার : চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি আয় কমেছে এবং এর পরিমাণ শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ যা অতি নগণ্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশর রফতানি আয়ের ১৯ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। United States International Trade Commission -এর হিসাব মতে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমদে বলেন, বর্তমানের দেশে সয়াবিন তেলের আনুমানিক বার্ষিক চাহিদা ১০ থেকে ১০ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন। বিগত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত এবং ১০ দশমিক ১৭ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত/অপরিশোধিত পাম ওয়েল তেল করা হয়েছে।
মহিলা আসন ৩৪ এর সংসদ সদস্য আমিনা আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বের ১০৭টি দেশে রফতানি হয়। এর মধ্যে জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালী, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক উল্লেখযোগ্য।
নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ১৪৭ জন সিআইপি (রফতানি) আছেন।
মহিলা আসন-২৩ এর সংসদ সদস্য পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের ৯টি দেশে বাংলাদেশের সিমেন্ট রফতানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, বুলগেরিয়া, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে  সিমেন্ট রফতানি করা হয়ে থাকে। সিমেন্ট রফতানি করেই ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ মার্কিন ডলার।
মন্ত্রী জানান, সিমেন্ট বাংলাদেশের একটি পুঁজিঘন শিল্প খাত। দেশে উৎপাদিত সিমেন্ট দেশের চাহিদা পূরণ করে এখন রফতানি করা হচ্ছে। সরকার সিমেন্ট রফতানি বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের যে কোনো একটিতে ৭ দিনব্যাপী একটি বিশেষায়িত মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এ মেলায় অন্যান্য পণ্যের সাথে সিমেন্টকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এছাড়া সিমেন্ট রফতানি বৃদ্ধি করতে প্রতিবেশী দেশসমূহে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা  হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত সিমেন্ট পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেই বেশি রফতানি করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে সাফটা চুক্তির আওতায় ভারত হতে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া এলডিসি হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনও শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এছাড়াও জিএসপি স্কিমের আওতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে শুল্কমুক্ত সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সিমেন্ট রফতানি বৃদ্ধি করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অবকাঠামোগত সুবিধাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া সিমেন্টের গুণগতমান নির্ণয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ফ্যাসালিটি বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রচেষ্টা হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রপতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে রফতানি বাণিজ্যে উৎসাহিতকরণে প্রতিবছর সেরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করা হয়।
একে এম শাহজাহান কামালের (লক্ষ্মীপুর-৩) এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ফরমালিন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৪ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ফরমালিন আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতোমধ্যে কতিপয় সম্পৃত্ত কেমিকেলস নিষিদ্ধ করে এসআরও নং ২১৩ আইন-২০১৪ তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৪ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, যার সুফল ইতোমধ্যে জনগণ পেতে শুরু করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ