ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ইসলাম বিরোধী ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে আওয়ামীলীগ -শিবির সভাপতি

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, দেশে বর্তমানে ইসলাম বিরোধী তৎপরতা ও সন্ত্রাস মহামারীর রুপ ধারণ করেছে। আর এই নাস্তিক্যবাদী ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্থান হচ্ছে আওয়ামীলীগ। মূলত আওয়ামীলীগ ইসলাম বিরোধী অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের আ¯্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। 
গতকাল বুধবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত সদস্য প্রার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নাভিদ আনোয়ার,সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, শিক্ষা সম্পাদক মো.মোবারক হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তারেক মনোয়ার প্রমুখ।
তিনি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যে। স্বাধীনতার পরও আওয়ামীলীগ নিজ দলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলাম শব্দটি বাদ দিয়ে ছিল। চালু করেছিল কুফরী মতবাদ ধর্মনিরপেক্ষতা। এবারও ক্ষমতায় আসার পর ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতা, নারী, শিশু বৃদ্ধ ও আলেম ওলামাদের উপর গণহত্যা, ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অবিচারের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র, ইসলাম বিরোধী আইন প্রণয়ন, নাস্তিকদের লালন এবং মন্ত্রী এমপিদের লাগামহীন ভাবে ইসলাম বিরোধী বক্তব্যর মাধ্যমে সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতার উপর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। আবার জনগণকে ধোঁকা দিতে ইসলামের জন্য মায়াকান্নাও করছে। অন্যদিকে দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে নরঘাতদকের দলে পরিণত করেছে। দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রতিদিনই নিজ ও প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মীদের রক্তে বাংলার জমিনকে রঞ্জিত করছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহীনি সন্ত্রাসীদের না ধরে উল্টো জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা, জুলুম, নির্যাতন করছে। অবৈধ সরকারের সর্বগ্রাসী বিভৎসতায় জনগণ বার বার আঁৎকে উঠছে।
তিনি সদস্য প্রার্থীদের উদ্যেশ্যে বলেন, দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামীলীগ ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। জালিমের দল জমিন থেকে ইসলামকে নির্মূল করতে চাইবে এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বসে থাকার সুযোগ নেই। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভ’মিকা পালন করতে হবে। সেই জন্য বাতিলের প্রতিরোধ যেমন অব্যাহত রাখতে হবে তেমনি ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করতে হবে। একই সাথে বাংলার জমিনে ইসলামের বিজয়ের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ