ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ইসরাইলি আগ্রাসনে ২১ হাজার বর্গ কি. মি. ভূমি হারিয়েছে ফিলিস্তিন

ফিলিস্তিনির মূল ভূখণ্ড ২৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার হলেও ইসরাইলি আগ্রাসনে তা কমতে কমতে ৬ হাজারে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ। অর্থাৎ ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২১ হাজার বর্গ কি.মি. ভূমি হারিয়েছে ফিলিস্তিন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্ট বার অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের ৬৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘সুশাসন, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায় বিচার’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি।

শাহের মোহাম্মদ বলেন, জাতিসংঘ থেকে ৩৬৫ দিনকেই মানবাধিকারের দিন ঘোষণা করা হলেও ফিলিস্তিনের জনগণ আজও চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে নিজেদের ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকে তারা বিভিন্ন দেশে শরনার্থী হয়ে আছে। গাজায় ১৫ লক্ষ মানুষ উন্মুক্ত জেল খানায় বসবাস করছে। তারা সেখানে কঠিন থেকে কঠিনতর জীবন যাপন করছে। ৪০ হাজার ছাত্র রয়েছে যারা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এ অবস্থায় প্রতিমূহুর্তে সেখানে চরমভাবে মানাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ইসরাইল অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনের ৮টি এলাকাকে বর্ডার দিয়ে আলাদা করে রেখেছে। যাতে উভয় এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হতে না পারে। তারা পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপন করেছে, সেখানে তিন লক্ষ ইসরাইলি বাস করছে। তারা কখনোই চায় না ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হোক। অথচ তারা সংখ্যার দিক দিয়ে ফিলিস্তিনিদের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

তিনি বলেন, ইসরাইলিদের কোনো শক্তি নেই। তাদের শক্তির যোগান দেওয়া হচ্ছে। এটি বিশ্ব মানবাধিকারে চরম লঙ্ঘনের এক নিকৃষ্টতম উদাহরণ।

বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো (বিএইচআরবি) আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরী।

আরো উপস্থিত ছিলেন; সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী ও সার্ক ল’ এর সাবেক চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম।

বিএইচআরবি-এর নির্বাহী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক বিচারপতি আবু কাউসার মো. দাবিরুস্বানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান এবং এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিসুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে এবছর ‘মানবাধিকার, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার’ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখার জন্য কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ