ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

শাহজালালে সাড়ে ২১ কোটি টাকা মূল্যের ৪৩ কেজি সোনা উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার ৪৩ কেজি সোনার একটি চালান আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার অরিন্দম চাকমা আজ দৈনিক সংগ্রামকে জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো রাখার স্থান থেকে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গার্মেন্ট এক্সেসরিজের আড়ালে লুকিয়ে এ স্বর্ণ দেশে আনা হয়। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার উম্মে নাহিদা আক্তার জানান, সিঙ্গাপুর এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইটে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনটি কার্টন ঢাকা আসে। সেগুলোতে চট্টগ্রাম ইপিজেডের জন্য গার্মেন্ট এক্সেসরিজ আনার কথা বলা হয় কাগজপত্রে। গোপন খবরের ভিত্তিতে শেষরাতে শুল্ক গোয়েন্দারা ওই কার্টনে তল্লাশি চালিয়ে ভেতরে প্রতিটি এক কেজি ওজনের ৪৩টি সোনার বার পায়। এই চালান আটকের কয়েক ঘণ্টা আগেই শাহজালালসহ দেশের চারটি বিমানবন্দরে চোরাচালান রোধে ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। গত দুই বছর ধরে চোরাই সোনার অসংখ্য চালান আটকের মধ্যেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে চোরাই সোনার সবচেয়ে বড় চালানটি আটক হয় গত বছরের ২৪ জুলাই। ওই চালানে ১২৪ কেজি ওজনের ১ হাজার ৬৫টি সোনার বার ধরা পড়ে, যার মূল্য প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। এছাড়া গত ২৬ এপ্রিল দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ১০৬ কেজি সোনা পান শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কারো সহযোগিতা ছাড়া এভাবে নিয়মিত সোনা চোরাচালন যে সম্ভব নয়- সে সন্দেহ আগে থেকেই ছিল। ১২৪ কেজি সোনার চালান আটকের দেড় বছর পর গত ৬ ডিসেম্বর বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এছাড়া গত নভেম্বরে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক উপ মহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।সে সময় গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শফিউল আজম নামের এক ব্যক্তি দুবাই থেকে চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। আর ঢাকায় এ কাজের সমন্বয় করে বিমান কর্মকর্তা, ঠিকাদার, কেবিন ক্রুসহ সংশ্লিষ্টদের একটি চক্র।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ