নিজের বেতন কমালেন পুতিন
গত এক বছরে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। তার উপরে ইউক্রেনের সমস্যার জন্য চেপেছে নানা নিষেধাজ্ঞা। সব মিলিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতির অবস্থা বেশ টলমল। সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ নাগরিকদের।
এই অবস্থায় নিজের, নিজের ক্যাবিনেট এবং ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ-কর্মচারীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর কথা ঘোষণা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার এই ঘোষণা দেয়া হয়।
রাশিয়ার রফতানি থেকে আয়ের ৫০ শতাংশ আসে তেলে বিক্রি থেকে। গত বছরে বিশ্বের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ইউক্রেনে বিরোধী পক্ষকে ক্রমাগত সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ায় আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নানা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
জবাবে রাশিয়াও পশ্চিমী বিশ্ব থেকে নানা জিনিস আমদানি বন্ধ করেছে। সব মিলিয়ে চাপ পড়েছে রাশিয়ার অর্থনীতির উপরে। হু হু করে পড়ে গিয়েছে রাশিয়ান রুবলের দাম। দিন চালাতেই কষ্ট হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের।
এ বছরের জানুয়ারিতেই গাজর আর বাঁধাকপির মতো নিত্যব্যবহার্য খাদ্যসামগ্রীর দাম প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছে গিয়েছে ১৬.৭ শতাংশে।
২০০২-এর পর মূল্যবৃদ্ধির এই হার সর্বোচ্চ। এই অবস্থায় পুতিনের ১০ শতাংশ বেতন কমানোর ঘোষণা ‘জনমোহিনী’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহেই রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ১০ শতাংশ বেতন কমানোর প্রস্তাব পাশ করেছিল। শর্ত ছিল, পুতিন ও তার পারিষদদের বেতনও ১০ শতাংশ কমাতে হবে। পুতিন সেই প্রস্তাবই মেনে নিলেন। মনে করা হচ্ছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডুমাও একই ভাবে বেতন কমানোর ঘোষণা করতে পারে।