ঢাকা, শুক্রবার 19 April 2024, ০৬ বৈশাখ ১৪৩০, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

১৬ ডিসেম্বর বাজারে আসছে বাংলাদেশে উৎপাদিত গাড়ি প্রোটন

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাজারে আসবে বাংলাদেশে তৈরি গাড়ি। বাংলাদেশের পিএইচপি ও মালয়েশিয়ার প্রোটন কোম্পানি যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশেই প্রস্তুত করবে গাড়ি। পিএইচপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহম্মদ মহসিন জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি প্রোটনের চেয়ারম্যান হলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহম্মদ। তার ব্যক্তিগত আগ্রহেই বাংলাদেশে পিএইচপি গ্রুপ প্রোটনের সঙ্গে গাড়ি উৎপাদনে যাচ্ছে।

এটি হবে বাংলাদেশে প্রথম গাড়ি উৎপাদন কোম্পানি। আগে সরকারি কোম্পানি প্রগতি, জিপ, বাস ও ট্রাকের বডি সংযোজন করতো। কিন্তু পিইচপি সম্পূর্ণ গাড়িই প্রস্তুত করবে বাংলাদেশে। একই সঙ্গে গাড়ির স্পেয়ার পার্টস ও অন্যান যন্ত্রাংশও উৎপাদন করবে। বাংলাদেশে প্রোটনের সঙ্গে পিএইচপির মালিকানা থাকবে অর্ধেক।
মোহম্মদ মহসিন জানান, আমরা ইতোমধ্যে, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২০ একর জায়গার ওপর কারখানার প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছি।

কোম্পানির প্রাথমিক বিনিয়োগ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কারখানা উৎপাদনে যেতে পারবে। তবে সেটি হবে পরীক্ষামূলক। বাজারে গাড়ি আসার সম্ভাব্য তারিখ রেখেছি ১৬ ডিসেম্বর। মাহাথির মোহম্মদ সেই সময় বাংলাদেশে গাড়ি উদ্বোধন করতে আসতে পারেন।

গাড়ির মূল্য সম্পর্কে তিনি জানান, দেশে জাপানি রিকন্ডিশন একটি করোলা গাড়ির যে মূল্য রয়েছে সেই মূল্যের নিচেই থাকবে দাম। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে ৫ বছরের পুরনো একটি জাপানি টয়োটা করোলার দাম ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা। গাড়ির সার্ভিসিং সম্পর্কে তিনি জানান, দেশে টয়োটা গাড়ির জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি দিক হলো, দেশের সব জায়গায় গাড়ির যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। আমরাও দেশের সব জায়গায় গাড়ির সার্ভিসিং সেন্টার রাখবো। ইতোমধ্যে ৫টি জেলায় সার্ভিসিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় সার্ভিসিং সেন্টার থাকবে। সেখানে গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে সব ধরনের সহায়তা থাকবে। ২৫ হাজার কিলোমিটার চলার মধ্যে যদি কোনো গাড়ির সমস্যা হয় আমরা পুরো নতুন গাড়ি দেব ক্রেতাদের। এই গাড়ি সে পাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। গাড়ির মডেল হবে, প্রোটন প্রিভি। গাড়ি হবে ১৬০০ সিসির। বর্তমানে ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রোটন গাড়ি বাজারজাত করেন। তিনি এটির ডিলার। পরবর্তীতে তিনি আমাদের কাছ থেকেই গাড়ি নিয়ে বিক্রি করবেন।

এ বিষয়ে রিকন্ডিশন গাড়ির আমদানিকারকদের সংগঠন বারবিডার সভাপতি মোহম্মদ শরিফ জানান, বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে প্রোটন গাড়ি বাংলাদেশে রয়েছে। এটি খুব একটা সফল ব্যবসা করতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষের জাপানি গাড়ির দিকেই ঝোঁক বেশি।

মালেয়সিয়ায় প্রটন সাগা ব্রান্ডের গাড়ির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে। ঐ বছরই কোম্পানিটি স্থানীয় মার্কেটে ১৩ হাজার গাড়ি বিক্রি করে এবং পরের বছর বিক্রি করে ৮৫ হাজার গাড়ি। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ব্রান্ডের গাড়ি রপ্তানী হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য এবং অষ্ট্রেলিয়ায় প্রটন ব্রান্ডের গাড়ির বিশেষ কদর রয়েছে।
সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ