ভারতের মন্ত্রিসভায় সীমান্ত বিল অনুমোদিত
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আজ বহুল আলোচিত সীমান্ত বিল অনুমোদিত হয়েছে - যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার ছিটমহল সমস্যার নিষ্পত্তির পথে এক বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের এই বিলটি অনুমোদিত হয়।
এই বিলটি অপরিবর্তিত আকারে পাস হবে - নাকি এর আওতা থেকে ভারতের আসাম রাজ্যকে বাদ দেয়া হবে - তা নিয়ে সরকারি দল বিজেপি, বিরোধীদল কংগ্রেস এবং আসাম রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল।
কারণ আসামের বিজেপি নেতৃত্বের অভিমত ছিল, অপরিবর্তিত আকারে বিল পাস হলে আসাম রাজ্যকে ২৬৮ একরের ছিটমহল বাংলাদেশকে হস্তান্তর করতে হবে - যা স্থানীয় নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির জন্যে রাজনৈতিকভাবে অসুবিধেজনক হতে পারে।
আর কংগ্রেসের অবস্থান ছিল, অপরিবর্তিত আকারেই বিল পাস হতে হবে - ঠিক যেভাবে এটি ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তোলা হয়েছিল।
ছিটমহলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই উন্নয়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং অপরিবর্তিত আকারেই বিলটি অনুমোদিত হয়েছে।
দিল্লির সরকারি সূত্রগুলো জানাচ্ছে, আগামি কয়েকদিনের মধ্যেই অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হবার আগেই বিলটি লোকসভায় উত্থাপন করা হবে।
৮ই মে লোকসভার এ অধিবেশন শেষ হচ্ছে।
কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে অপরিবর্তিত আকারে মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হওয়ায় লোকসভাতেও দু-তৃতীয়াংশ ভোটে বিলটি পাস হবে - এমন সম্ভাবনা এখন উজ্জ্বলতর হলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামি জুন মাসে ঢাকা সফরে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিলটির লক্ষ্য হচ্ছে ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার ছিটমহল ও অপদখলীয় ভুমি বিনিময়, এবং সাড়ে ৬ কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করা।
এ জন্য ২০১১ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু এর বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন এখনো না হওয়ায় ৪২ বছর ধরে ব্যাপারটি ঝুলে রয়েছে।
-বিবিসি বাংলা