পতাকা বৈঠকেই রাজি করানো যাচ্ছে না মায়ানমারকে!
বিজিবির নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ফেরত আনার দিনক্ষণ এখনও চুড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে বিনাশর্তে ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করা হলেও মিয়ানমার তাতে সারা দিচ্ছে না। তারা রাজ্জাককে ফেতর দিবে বলে বাংলাদেশ সরকারকে জানালেও নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণের কথা জানাচ্ছে না। এতে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি মিয়ানমার পতাকা বৈঠকেরও কোন সময় নির্ধারণ করে দেয়নি। এই কারণে তাকে কবে ফেরত পাওয়া যাবে তা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কেউ কিছু বলতে পারছি না।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন তারেক মুহাম্মদ জানান রাজ্জাককে ফেরত আনার দিনক্ষণ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।
মঙ্গলবার বিকেলে তিনি এই মন্তব্য করেন। আব্দুর রাজ্জাকের ফেরতের ব্যাপারে অগ্রগতি কতখানি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চেষ্টা অব্যাহত আছে। হয়তো বলার মতো এখনও কোন অগ্রগতি হয়নি। কারণ আমরা আলোচনা করছি। কিন্তু তারা কখন ফেরত দিবে সেই সময় দিচ্ছে না।
আপনারা কাদের সঙ্গে কথা বলছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি।
তারা কি বলছেন? তার ভাষায়, তারা বলছেন, ফেরত দিবেন। আমরা পতাকা বৈঠক করার জন্য ও ফেরতের জন্য সময় চাইছি। তবে তারা কবে দিবে সেই ব্যাপারটি এড়িয়ে যাচ্ছে।
‘শুনেছি তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্জাককে ফেরত দিতে চাইছে কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিতে চাইছে না’Ñ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ওদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এখনও কথা বলিনি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই অনুরোধ করা হয়েছে তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি যত দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনাশর্তে ফেরত নাও দিতে পারেÑ এমন আশঙ্কার জবাবে তিনি বলেন, সেটা তারা আনঅফিসিয়ালি বলাবলি এবং নানা শর্ত দিবে এমন আভাস দিলেও আনুষ্ঠানিক ও লিখিতভাবে কোন শর্ত দেয়নি। তারা লিখিত ভাবে আমাদেরকে বলেনি যে ৫৫৫ রোহিঙ্গাকে জনকে ফেরত নিতে হবে। না নিলে রাজ্জাককে দিবে না।
কিন্তু বিজিবির টেকনাফের সিইওকে বিজিপির ব্যাটিলিয়ন কমান্ডার শর্ত দিয়েছেন ৫৫৫ জনকে না নিলে তাকে ফেরত দিবেন না, এই ব্যাপারে কি করবেন?
তিনি বলেন, এটা আমরা শুনেছি। কিন্তু এই জন্য তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিতে হবে। সেটা তারা দি”েছ না। আবার পতাকা বৈঠকেরও সময় দিচ্ছে না। তবে রাজ্জাক ও ৫৫৫ জনের বিষয় দুটি ভিন্ন বিষয়। এই দুটি তারা এক করে ফেলছে, যা মোটেও এটা ঠিক না।
এই পরিস্থিতিতে আপনারা কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
রাজ্জাককে দিনের পর দিন আটকে রাখা ও এখনও ফিরিয়ে আনতে না পারায় বিভিন্ন বাহিনীতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে কিনা, এমন আশঙ্কার জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাইছি যে কোন সময়ে তাকে ফিরিয়ে নিতে। বিষয়টি তাদের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে। এটা অন্যদেরও বুঝতে হবে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মিয়ানমারের এ রকম আচারণকে অতিরিক্ত বলে মন্তব্য করেছেন।