সুন্দরগঞ্জে ৬১ কমিউনিটি ক্লিনিক বিদ্যুৎ ও ওষুধ ছাড়াই চলছে
গাইবান্ধা সংবাদদাতা : দীর্ঘদিন থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৬১ কমিউনিটি ক্লিনিক বিদ্যুৎ ও ওষুধ ছাড়াই চলছে। জানা গেছে, পল্লী অঞ্চলে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো স্থাপন করেন। তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনসংখ্যার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের স্থানীয় দানশীল ব্যক্তির দানকৃত জমির উপর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় পাকা অবকাঠামো যুক্ত ৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিক। নিয়োগ দেয়া হয় সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর)।
এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পেতে না পেতেই প্রয়োজনীয় ওষুধ সংকট দেখা দেয়। এতে করে পল্লী অঞ্চলের সাধারণ মানুষ প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। ক্লিনিকগুলোতে প্রায় ৩ মাস থেকে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ক্লিনিকে সুচিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য ল্যাপ্টপ প্রদান করা হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলো দায়িত্বরত সিএইচসিপিরা (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর) ব্যবহার করতে পারছে না। অনেক সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর) ল্যাপটপগুলো নিজ বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ক্লিনিকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও যথা সময়ে তা খোলা হচ্ছে না। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় মানুষদের। এতে করে তারা চিকিৎসা নির্ভর হতে বাধ্য হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাতুড়ে ডাক্তারদের উপর। ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা গুণতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে রোগাক্রান্ত অসহায় মানুষদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ মৃধা জানান, ৫৯টি ক্লিনিকে ৬১টি ল্যাপটপ (সিএইচসিপি) কে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ছাড়াই চলছে ল্যাপটপগুলি, বিদ্যুতের জন্য সরকার তো এ ব্যাপারে সঠিক কোন নির্দেশনা দেয়নি। আমার প্রস্তাব রোগীর স্বার্থে প্রত্যেকটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ থাকা দরকার। বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য অফিসিয়ালি কোন আবেদন করা হয়নি। ওষুধ সরবরাহের ব্যাপারে টিএইচএ জানান, সরবরাহ না থাকলে আমার কি করার আছে।