শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কুরআন ছেঁড়ার ঘটনায় শিবিরকর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই

গত ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় কুরআন ছেঁড়ার ঘটনার সাথে শিবিরকর্মীদের উপর মিথ্যা দোষারোপ করা হয়েছে। শিবিরকর্মীদের  আটক করে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে জোরপূর্বক প্রশাসনের হস্তলেখা স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষরও নেয়।
পরবর্তীতে আদালতে আইনজীবীদের সাথে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বরং আতঙ্কগ্রস্ত রেখে নিরীহ শিবিরকর্মীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে স্বাক্ষর নেয়।
আইন বহির্ভূতভাবে কয়েকদিন থানা হাজতে আটকে রাখা, পরিবারকে সাক্ষাৎ করতে না দেয়া এবং মিথ্যা ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি আলী আদনান ও সেক্রেটারি আবু রায়হান।
নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, ২০১৩ সালের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঠেকাতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রশাসন দিয়ে শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় কোন আন্দোলন না চললেও একের পর এক মিথ্যা ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে শত শত মামলা দায়ের করে। নতুন নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করে জামায়াত শিবির নির্মূলের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে বিভিন্ন মসজিদে দুর্বৃত্তের কুরআন ছেঁড়ার ঘটনার সাথে শিবিরকে জড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পুলিশ প্রশাসন। কুরআন অবমাননাকারীদের খুঁজে বের না করে অপরাধ চালিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। তদন্তের পূর্বে নিরীহ ছাত্রদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অপচেষ্টা, কাদের স্বার্থে? জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। সরকারদলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ, চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, কুরআন অবমাননার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি দুর্বৃত্তের মুখোশ উন্মোচনে এগিয়ে আসতে হবে। আর নিরীহ শিবিরকর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ