ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

লাতিন আমেরিকায় জিকার ভয়ে গর্ভপাতের হিড়িক

অনলাইন ডেস্ক: জিকা সংক্রমণে অপরিণত মস্তিস্ক নিয়ে শিশু জন্মের আশঙ্কায় লাতিন আমেরিকায় গর্ভপাত ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলে গর্ভপাত চাওয়ার হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে এবং লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে এ হার এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে।

এসব দেশের সরকার মেয়েদের অন্তঃস্বত্তা না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আগেই। কারণ হলো- জিকার সংক্রমণ হলে এসব নারীর অপরিণত মস্তিস্কের সন্তান জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জিকা ভাইরাসের বিষয়টি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই আতঙ্ক তৈরি করেছে। ষাটটি দেশ এবং এলাকায় মশাবাহিত জিকা সংক্রমণের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণে মাইক্রোসেফালি রোগে আক্রান্ত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি শিশু।

লাতিন আমেরিকার অনেক দেশেই গর্ভপাত অবৈধ। কাজেই সেখানে নারীরা বেসরকারিভাবে যারা গর্ভপাত করে তাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাই গর্ভপাতের সংখ্যাটাও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। অস্বাভাবিক শিশুর জন্ম ঠেকাতেই অনেকে অনিরাপদ গর্ভপাতের পথ বেছে নিচ্ছেন।

এরকম একটি প্রতিষ্ঠান উইমেন অন ওয়েব নারীদের অনলাইনে পরামর্শ এবং গর্ভপাতের বড়ি দিয়ে থাকে। এরা খুবই বড় একটি প্রতিষ্ঠান।

যারা জিকা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে তারা উইমেন অন ওয়েবের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে ২০১৫ সালের ১৭ই নভেম্বর জিকা সম্পর্কে আমেরিকাব্যাপী স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারির আগে ৫ বছরে কত গর্ভপাতের অনুরোধ তারা পেত।

ওই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তারা গর্ভপাতের গড় হার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে এবং ওই ধারণার ওপর ভিত্তি করে এবং আসলে গর্ভপাতের কত অনুরোধ বর্তমানে আসছে তা বিশ্লেষণ করে তারা দেখেন ব্রাজিল আর ইকুয়াডোরে গর্ভপাতের হার দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে।

পেরুর এক মহিলা উইমেন অন ওয়েবকে বলেন, ''আমি খুবই উদ্বিগ্ন। আমি দু'মাসের অন্তঃস্বত্তা আর পেরুতে জিকা ধরা পড়েছে। আমি অসুস্থ শিশুর জন্ম দিতে চাই না। আমি গর্ভপাত করাতে চাই- আমি খুবই ভয়ে অাছি।''

ভেনেজুয়েলার আর এক গর্ভবতী নারী বলেন, ''চারদিন আগে আমার জিকা হয়েছিল। আমি বাচ্চা ভালবাসি, কিন্তু চাই না আমার বাচ্চা অসুস্থতা নিয়ে জন্মাক। দয়া করে আমাকে গর্ভপাত ঘটাতে সাহায্য করুন।''

গবেষক ড. ক্যাথরিন এইকেন বলছেন, তিনি বলেছেন এসব দেশে মেয়েরা ভয়, উদ্বেগ আর ত্রাসের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, কিন্তু ''ফাঁকা বুলির'' বাইরে তাদের জন্য সরকারি সাহায্য নেই।

গবেষক দলের আরেকজন সদস্য বলেছেন মেয়েরা অনিরাপদভাবে গর্ভপাতের যে পথ বেছে নিচ্ছে তাতে তাদের নিজেদের জীবনের জন্য তৈরি হচ্ছে নানাধরনের ঝুঁকি। সূত্র: বিবিসি

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ