বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পাকিস্তানে যেকোন মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ভারত

সংগ্রাম ডেস্ক : পরমাণু শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে। সীমান্তে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েন, বিমানবন্দর-যুদ্ধ বিমান প্রস্তুত রাখা এবং পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পাল্টাপাল্টি হুমকির ঘটনায় কার্যত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দামামা বাজছে। পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কোন সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে চির বৈরী দু’দেশের মধ্যে। আমাদের সময়.কম।
পাকিস্তান ও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, ভারতের সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্তের ঘাঁটিগুলোতে অবস্থান, দুই দিনে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে ২১ পাকিস্তানীকে হত্যা, যুদ্ধ বিমান ও অস্ত্র বহনকারী বিমান পাকিস্তান সীমান্তের ঘাঁটিতে নেয়া এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুই ঘন্টা ‘যুদ্ধরুমে’ গোপন বৈঠকের পর ভারত যেকোনো মুহূর্তে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাশাপাশি পাকিস্তানের সামরিক মহড়া, বিমান বাহিনীর টহল, যুদ্ধ বিমান প্রস্তুত রাখা, আজাদ কাশ্মীরে বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিল, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফের মধ্যে আলোচনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঙ্কারের খবরেও পাল্টা হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, প্রকাশ্যে সংযম দেখালেও গোপনে পুরো দমে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। পাকিস্তানে হামলার প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ভারত। ইতোমধ্যে সীমান্ত ঘাঁটিগুলোতে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ বিমান ও অস্ত্র বহনকারী বিমানও ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র দফতর সাউথ ব্লকের ‘ওয়ার রুমে’ তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে দুই ঘন্টা গোপন বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনা প্রধান দলবীর সিং সুহাগ, বিমান বাহিনীর প্রধান অরূপ রাহা ও নৌ বাহিনীর প্রধান সুনীল লাম্বা। যুদ্ধের সময় সাউথ ব্লকের এই ঘরটিকেই ব্যবহার করা হয় ‘কন্ট্রোল রুম’ হিসেবে। এটিকে সিক্রেট রুমও বলা হয়।
ওয়ার রুমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করে যুদ্ধের প্রস্তুতি দেখানো হয়। বালুর মডেলে জঙ্গি আস্তানা তৈরি করে বোঝানো হয়, কীভাবে আচমকা হামলায় ছত্রভঙ্গ করে দেয়া যায় পাকিস্তানকে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিকর জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলতে কূটনৈতিক থেকে সশস্ত্র হামলা সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে মোদি সরকার। সেনারা আগেই জানিয়েছে, প্রত্যাঘাতের সময় ও স্থান স্থির করবে তারা।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, তাদের যুদ্ধবিমান ও অস্ত্রবহনকারী বিমান সীমান্ত ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। তবে হামলার উপযুক্ত জবাব দিতে পূর্ণ প্রস্তুত পাকিস্তান। অবশ্য পাকিস্তান প্রথম আক্রমণ করবে না, কিন্তু ভারতকেও ‘রেড লাইন’ ক্রস করতে দেয়া হবে না।
উর্দু দৈনিক পাকিস্তান জানায়, ভারতের হামলা ঠেকাতে পূর্ণ শক্তিমত্তা ব্যবহার করতে প্রস্তুত পাকিস্তান। ভারতীয় বাহিনীকে কোনোক্রমেই সীমান্ত রেখা অতিক্রম করতে দেয়া হবে না।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের এক খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ওয়ার রুমে আলোচনা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ঠিক তখনই ভারতের হুমকি মোকাবেলায় এবং যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহড়া শুরু করে দিয়েছে পাক-সেনাবাহিনী।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের কাছে থেকে হুমকি পাওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্কতায় অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে সতর্ক অবস্থার স্তরে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হচ্ছে, ভারতের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের রাস্তার ধারে যুদ্ধবিমান অবতরণ করছে।
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত অনুশীলনের অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধবিমান অবতরণ করছে। প্রতি ৫ বছর অন্তর বড় ধরনের অনুশীলন করে পাক বিমান বাহিনী, এর প্রস্তুতি নিতে এক মাস সময় প্রয়োজন হয়।
বুধবার পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের আকাশসীমা ও এমওয়ান এবং এম-টু মোটর যান চলাচলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে উত্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে সংস্থাটি। পাক-অধিকৃত কাশ্মির ও খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কিছু এলাকায় বিমান চলাচল বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ভারতের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় পাক সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতির গুজবে দেশটির শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল রেহমান মালিক বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির সংক্রমিত মস্তিষ্কের চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এখন ২০১৬ সাল, ১৯৭১ নয়। আমাদের কাছে পারমানবিক অস্ত্র রয়েছে। এখন দেখার বিষয় জবাব কোথায় হবে পাকিস্তান না ভারতে তা দেখার বিষয়। বলে রাখা ভালো ভারতে নরেন্দ্র মোদি থাকতে কোনো শত্রুর প্রয়োজন নেই।
মহড়া শুরু করেছে পাক-সেনাবাহিনী
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ওয়ার রুমে আলোচনা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ঠিক তখনই ভারতের হুমকি মোকাবেলায় যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহড়া শুরু করে দিয়েছে পাক-সেনাবাহিনী। খবর পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের।
পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেছেন, সম্প্রতি ভারতের কাছে থেকে হুমকি পাওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্কতায় অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে সতর্ক অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। খুব শিগগিরই এই অনুশীলনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হচ্ছে, ভারতের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের রাস্তার ধারে যুদ্ধবিমান অবতরণ করছে।
সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত অনুশীলনের অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধবিমান অবতরণ করছে। প্রতি ৫ বছর অন্তর বড় ধরনের অনুশীলন করে পাক বিমান বাহিনী এর প্রস্তুতি নিতে এক মাস সময় প্রয়োজন হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ