শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সীমানা নির্ধারণের পর জেলা পরিষদ নির্বাচন

সংসদ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হলেই সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমার প্রজ্ঞাপন জারি করবে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ- এ এই নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেয়ায় বিধি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। ৬১টি জেলা পরিষদের পদ সংখ্যা ১ হাজার ২৮১টি।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রশাসকদের পদত্যাগ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রিসভা ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬’ অনুমোদন করেছে। এতে পদত্যাগ করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসকদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই অধ্যাদেশ অনুমোদনের পর পদত্যাগ সাপেক্ষে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসকরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬’ও অনুমোদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য তিনটি জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলা পরিষদে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত পদ সৃষ্টি করে প্রশাসক নিয়োগ করে সরকার। তখন স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা হবে। কিন্তু এত দিনেও সেসব প্রশাসক দিয়েই চলছে জেলা পরিষদগুলো।
বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগের অবসান ঘটাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে নয়, পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে। আর নির্বাচন হবে দলীয়ভাবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ