বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আলোচনার মাধ্যমে সমাধান -নওয়াজ শরীফ

২১ অক্টোবর, ডন : আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে আঞ্চলিক সব সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার এ বার্তায় অনেকেই আশান্বিত হয়ে উঠেছেন। উরি হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রাজনীতির অঙ্গন ও যুদ্ধ ময়দানে লড়াই চলছে। লড়াই চলছে গণমাধ্যমেও। এর সবই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গেল নওয়াজের কথায়। ফলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নতিতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন কেউ কেউ।
উরি হামলা নিয়ে বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন দুই দেশের সম্পর্কে ভারসাম্য আনা। তবে দুই দেশের মূল অবস্থান স্পষ্ট। দিল্লীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। আর ভারত প্রাধান্য দিচ্ছে পাকিস্তানের জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়াকে। কেউ কারো অবস্থান থেকে এক চুল ছাড় দিতে নারাজ। দু’দেশের মধ্যে শত্রুভাবাপন্ন এই অবস্থান থেকে সরিয়ে আনতে মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন। যে কিনা দুদেশের মধ্যকার বিভেদ দূর করতে সহায়তা করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই দুদেশের মধ্যকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। যে কোনোভাবেই তাদের আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি হবে।
এখন কথা উরি ঘটনার জের আর কতদিন চলবে। এ ঘটনা নিয়ে দুদেশ আর কতদিন তাদের মধ্যে রেষারেষি চালিয়ে যাবে। এতে আখেরে তো কারো লাভ নেই। ভারতের দাবি পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিরাই এ হামলা চালিয়েছে। কাজেই তাদের উচিত হবে, তাদের দাবির পক্ষে যেসব প্রমাণ তারা সংগ্রহ করেছে তা পাকিস্তানকে দেওয়া। কারণ পাকিস্তান সরকার বরাবরই এ দাবি অস্বীকার করে এসেছে। ভারত প্রাথমিকভাবে যেসব প্রমাণ হাজির করেছে তা দিয়েই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। তাদের দাবির পক্ষে এমন কিছু শক্তিশালী প্রমাণ দেওয়া।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের এ উত্থান-পতন গত ৬৯ বছর ধরেই চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এ সমস্যা বেশিদিন চললে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। কারণ এরই মধ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দুই দেশের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। তবে দুই দেশের সরকারের লড়াই শুধু রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নেই। তা গণমাধ্যমের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিপদ বাড়ার আগেই দুই দেশকে আলোচনায় আসতে হবে। পদক্ষেপ নিতে বেশি দেরি হলে তা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে দুদেশকে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ