বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঘাতক গাড়ি চালককে এক মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গাড়ি চাপায় এক দম্পতি নিহত হওয়ার ঘটনায় গাড়ি চালককে এক মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার কয়েকদিন পর কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মো. শামীম হোসেন বলেছিলেন, তারা গোয়েন্দা জালেই রয়েছে। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের খোঁজ পায়নি পুলিশ।
পুলিশের দাবি, আসামীরা তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। তাই তাদের ধরা কঠিন হয়ে পড়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঈদুল আযহার পরদিন সকালে মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান এবং তার স্ত্রী রওশন আরা। তারা শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার  মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান এবং রওশন আরাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় নিহতের ছেলে রায়হান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
 এদিকে মামলার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন চাপা দেওয়া গাড়ির চালক নাফিস খান, তার বাবা আশিকুর রহমান খানসহ পুরো পরিবার। রাজধানীর শাহীনবাগে বাড়ি, টাঙ্গাইলের স্থায়ী ঠিকানা, এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না তাদের।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানার ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন বলেছিলেন, তারা গোয়েন্দা জালেই আছে, দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, তাদের বর্তমান অবস্থান এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনার পরপরই কচুক্ষেতে আসামীর সৎ চাচার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তার এবং তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের ফোন নম্বর ট্রেস করা হয়েছে। কিন্তু  আসামীরা তাদের কোনো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে না। নিজেদের ও পরিবারের মোবাইল-ফোনগুলোও ফেলে দিয়েছেন তারা। তবে আসামীরা দেশে কোথাও লুকিয়ে আছেন বলেই ধারণা তদন্ত কর্মকর্তার।
 ফেরদৌস আহমেদ বলেন, দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশকে তাদের পাসপোর্টের ফটোকপিসহ চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা দেশ থেকে বের হতে পারবেন না। নিহত আতাউরের  ছোট মেয়ে আয়েশা আক্তারের স্বামী মহসীন হোসেন বলেন, আমাদের অভিবাবক বলতে একমাত্র তারাই ছিলেন। তাদের হারিয়ে আমাদের পরিবারে মুরব্বী বলতে আর কেউ থাকলো না। আমরা চাই আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ