শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঝালকাঠির গ্রামাঞ্চল থেকে শাপলা বিলীন হয়ে যাচ্ছে

ঝালকাঠি সংবাদদাতা : বর্ষা মওসুমের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল, জলাশয় এবং নিচু জমিতে বিপুল পরিমাণে শাপলা জন্মাত। বর্ষাকাল থেকে শুরু করে শরতকালের শেষ পর্যন্ত এ শাপলা দেখা যেত। মানুষের খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবেও যুক্ত ছিল শাপলা। কয়েক বছর আগে বর্ষা এবং শরতকালে খাল-বিলে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকত গোলাপি ও সাদা রঙের শাপলা ফুল। ঐ সময় সকালে জলাশয়ের দিকে চোখ পড়লে রং বেরঙের শাপলার বাহারি রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত। এখন জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে খাল-বিল ও জলাশয় থেকে শাপলা হারিয়ে যেতে বসেছে। শাপলা ফুল সাধারণত গোলাপি ও সাদা রঙের হয়ে থাকে। লাল ও সাদা রঙের শাপলা বেশ পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। শাপলার ভেষজ গুনও কমও নয়। তবে লাল রঙের শাপলা ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই শাপলা চুলকানি ও আমাশয় রোগের জন্য বেশ উপকারী। আবার শাপলা ফুলের ফল দিয়ে সুস্বাদু খৈ ভাজা যায়। যেটি গ্রামাঞ্চলে ঢ্যাপের খৈ বলে পরিচিত। মাটির নীচের মূল অংশকে শালুক  বলা হয়। নবেম্বর-ডিসেম্বর মাসে খাল-বিল, হাওড়-বাওর, জলাশয়ের পানি যখন কমে যায় তখন শাপলার শালুক তুলে খাওয়া যায়। ঝালকাঠি সদর উপজেলার রমজানকাঠি কৃষি কলেজের বিভাগীয় প্রধান চিত্ত রঞ্জন সরকার বলেন, চাষের জমিতে অধিক মাত্রায় আগাছা নাশক ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে জমির উর্বরতা কমে যায়। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে খাল-বিল, হাওড়-বাওর, জলাশয় ও পুকুরের জমি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করায় দিন দিন শাপলা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝালকাঠি’র উপ-পরিচালক শেখ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, খাল-বিল ও পুকুরসহ আবদ্ধ জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ার কারণে শাপলার শালুক নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে শাপলার বংশ বিস্তার বাধার সম্মুখীন হওয়ায় শাপলা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ