সরকার নিজেই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিরোধীদলকে দমন করতে চায় -মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই একটি সঠিক পথ বের করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতামূলক পথ বের না করলে নির্বাচন কখনো অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। এ সময় ইতালীর নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে বিএনপি নেতাদের জড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের যে দোদুল্যমানতা, স্ববিরোধীতা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে স্ববিরোধিতার মাধ্যমেই প্রমাণ করে, দেশে আইনের শাসন নেই। আমরা বরাবরই বলে আসছি এই সরকার নিজেরাই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। সেই সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিরোধীদলকে দমন করতে চায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির প্রতিষ্ঠাতার মাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে যদি জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে হয় তাহলে অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সঠিক পথ বের করতে হবে। যে পথের মধ্যদিয়ে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং কোনো দলীয় প্রভাব ছাড়াই একটি নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
যথাসময়ে আগামী নির্বাচন হবে এবং এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা নেই বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তার উদ্যম বেশি থাকার কথা, আর সে কারণেই তিনি আগাম এ কথা বলেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দেখেছি ২০১৪ সালের আগেও তারা বলেছে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে তারাই আলোচনার জন্য বিএনপিকে ডেকেছেন। আসলে আওয়ামী লীগ যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাহলে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গণতন্ত্র উদ্ধারের শপথ নিয়েছি। যুবদল প্রতিষ্ঠাতার পর থেকে বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমি প্রত্যাশা করি এ দলটি সুসংগঠিত হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।
এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্তা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরবসহ দলের নেতাকর্মীরা।