বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

তামিমের সেঞ্চুরির পরও ২২০ রানে অল আউট বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার : চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে দারুণ ছন্দে ছিলেন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৯ রান। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি করতে পারতেন তামিম। কিন্তু ৭৮ রানে আউট হলে আর সেঞ্চুরি হয়নি তামিমের। তবে চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি না হলেও ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। তার সেঞ্চুরির উপর নির্ভর করেই প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ২২০ রান। দলীয় ২২০ রানের মধ্যে তামিমের সংগ্রই ১০৪ রান। বাকি ৯ ক্রিকেটার মিলে করেছে ৯৬ রান। তামিমের সেঞ্চুরিটা না হলে ইংল্যান্ডে বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোরটা আরো লজ্জাজনক হতে পারত। টেস্ট ক্রিকেটে তামিমের এটা অস্টম সেঞ্চুরি। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটা তােিমর তৃতীয় সেঞ্চুরি। তবে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই তামিমের প্রথম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের এর আগের দুটি সেঞ্চুরি ছিল লর্ডস ও ম্যানচেস্টারে। সেঞ্চুরির কাছাকাছি আরো দুটি ইনিংসও আছে তামিমের। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের ভালো খেলার রেকর্ড সব সময়ই ভালো। গতকাল টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে মাঠের চারদিকে দারুণ সব শট খেলে প্রতিপক্ষ বোলারদের মধ্যে প্রথম থেকেই ভীতি ছড়িয়ে দেন তামিম। আর মঈন আলীকে পর পর দুই বলে চার মেরে সেঞ্চুরি করেন। ১৩৯ বলে ১২ চারে তামিম সেঞ্চুরি পূরণ করেন। তবে দুইবার লাইফ নিয়েই সেঞ্চুরি করেন তামিম। প্রথমবার ৪৭ রানে আর দ্বিতীয়বার ৬৬ রানে লাইফ পান তিনি। প্রথমবার ফিল্ড আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ আবেদন করে ইংল্যান্ড। কিন্তু তামিমের পক্ষেই রায় দেন থার্ড আম্পায়ার। দ্বিতীয় লাইফটি পাওয়ার আগে তামিম ৬৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন। স্টোকসের বলে বেয়ারস্টোর হাতে তালুবন্দী হওয়ার আবেদন তোলেন ইংলিশরা। আর তাতেই আউট দেন ফিল্ড আম্পায়ার ধর্মসেনা। কিন্তু তামিম রিভিউ নিয়ে এই যাত্রায়ও বেঁচে যান। অবশ্য শেষ পর্যন্ত সেই রিভিউতেই ফিরে যেতে হয় তামিমকে। ১০৪ রান নিয়ে খেলতে থাকা তামিম মঈন আলীর অফস্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল ছেড়ে দিলে বলটি প্যাডে আঘাত হানে। আর আউটের আবেদন হলে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। তামিম রিভিউ চাইলেও এই যাত্রায় আর বাঁচতে পারলেন না। ইংল্যান্ডের বিপেক্ষ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান নিয়েই ফিরে যেতে হয় তামিমকে। ১৪৭ বলে ১২ চারে তামিম ইকবাল তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এর আগে তামিম ৫০ রান করতে খেলেছেন ৬০ বল। পরের হাফসেঞ্চুরি এসেছে ৭৯ বল থেকে। তামিম সেঞ্চুরি করতে গতকাল মুমিনুলকে নিয়ে করেছেন ১৭০ রানে পার্টনাশীপ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-মুমিনুরের উপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তামিম বিদায় নিয়ে আর সেটা সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে জিততেই টেস্টে মাত্র ২২ রানে হারে বাংলাদেশ। ফলে ঢাকা টেস্টে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে গতকাল মাঠে নামে মুশফিকরা। অবশ্য টস জয়ের ভাগ্যে পরিক্ষায়ও এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়ার টার্গেট ছিল টাইগারদের। তবে সেটা সফল হয়নি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার জন্য। কারণ তামিম আর মুমিনুল ছাড়া কোন ব্যাটসম্যানই দলের পক্ষে ভালো স্কোর গড়তে পারেনি। ফলে ২২০ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশ খেলতে পারেনি পুরো দিন। ৬৩.৫ ওভারেই অলআউট হয় মুশফিকরা। মঈন আলী একাই ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে। সেই সাথে ক্রিস ওকস আর বেন স্টোকসও বাংলাদেশকে কম রানে আটকে ফেলতে যথেষ্ঠ ভুমিকা রাখে। তবে দিন শেষে ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ডও। এখানেই কিছুটা সান্ত¦না বাংলাদেশের। কারণ ইংল্যান্ডের ৫০ রানের ম্যধ্যই বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে তিন উইকেট। ফলে আজ দিনের শুরুতে বোলাররা ভালো করলে ইংল্যান্ডকেও কম রানে আটকে ফেলা সম্ভব হতে পারে বাংলাদেশের। এ জন্য বোলারদের আরো ভালো বোলিং করে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ