ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ব্যবসায়ীর পকেটে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ!

অনলাইন ডেস্ক: শ্রীনগরে সালিশদারদের দাবি পূরণ না করায় সোহেল নামের এক মুরগি ব্যবসায়ীর পকেটে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে সোপর্দের অভিযোগ উঠেছে।

তবে সালিশদাররা বলছেন, সালিশ মীমাংসায় ওই ব্যবসায়ীর কাছে কোনো ইয়াবা পাওয়া যায়নি। পুলিশ কীভাবে কি করেছে তা তাদের জানা নেই।

রোববার রাতে উপজেলার উত্তর কামারগাও পাকা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সোহেলের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন সন্ধ্যায় উত্তর কামারগাও গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ফিরোজ মিয়ার বাড়ি থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে স্থানীয় কয়েক যুবক সোহেলকে আটক করে পাকা ব্রিজ এলাকার একটি ক্লাবে নিয়ে আসে।

এসময় সোহেলকে বেধড়ক মারধর করে তার কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়া হয়। রাত ৮টার দিকে ওই ক্লাবের কর্মকর্তা ও ভাগ্যকূল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সালিশ মীমাংসা বসে।

সালিশদাররা ফিরোজ মিয়ার শ্যালিকার সঙ্গে সোহেলের অনৈতিক সম্পর্কের কথা বলে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। সোহেল সালিশদারদের দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।

এসময় সালিশদাররা পুলিশে খবর দিয়ে সোহেলকে তাদের হাতে সোপর্দ করে।

শ্রীনগর থানার এসআই রহমত সোহেলকে গ্রেফতার করেন। তিনি জানান, সোহেলকে ২০ পিচ ইয়াবাসহ ক্লাবে আটকে রাখা হয়েছিল।

তবে, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সালিশদার সামাদ মেম্বার জানান, সোহেল ইয়াবার সঙ্গে জড়িত নয়। তার কাছে কোনো ইয়াবা পাওয়া যায়নি। অনৈতিক সম্পর্কের কারণেই তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সোহেলের এ পরকীয়ার কারণে এর আগেও একবার সালিশ হয়েছিল।

অপর সালিশদার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল গফুর জানান, ক্লাবে সোহেলের সঙ্গে কোনো ইয়াবা পাওয়া যায়নি। তাকে অনৈতিক সম্পর্কের কারণেই আটক করা হয়।

সোহেলের মোবাইল ফোনসেট দুটি কেড়ে নেয়ার কথা তিনি শুনেছেন বলে জানান।

কিন্তু সালিশের নেতৃত্ব দানকারী রফিকুল ইসলাম জানান, সোহেলকে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে আটক করা হলেও পরে তার কাছে ইয়াবা পায় পুলিশ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রফিকুল ও পুলিশের যোগসাজশেই একাজ হয়েছে।

শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, সোহেলর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের পর মামলা নিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ