শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

‘শীত নামানী’ বৃষ্টিতে জনজীবনে ছন্দপতন

স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্জিকায় কার্তিক হলেও প্রাকৃতিক আবহটা ছিল শ্রাবণের। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকায় হালকা ঠা-া অনুভব করেছে মানুষ। তবে দিনভর ‘শীত নামানী’ বৃষ্টির কারণে জনজীবনে অনেকটা ছন্দপতন ঘটে। এদিকে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে বিপিএলের চতুর্থ আসরের উদ্বোধনী কুমিল্লা-রাজশাহী ম্যাচসহ এদিনের দুটি ম্যাচই। অন্যদিকে আজ শনিবার বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ মিলিমিটার। একই সময়ে ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ মি.মি.। এছাড়া ফরিদপুরে বৃষ্টি হয়েছে ১৪ মি.মি., মাদারীপুর ১৭, গোপালগঞ্জ ৭, নেত্রকোনা ১৬, চট্টগ্রাম ৫, সন্দ্বীপ ৫, সীতাকুন্ড ৩, রাঙ্গামাটি ২৩, কুমিল্লা ৫, চাঁদপুর ১৮, মাইজদীকোর্ট ৩, ফেনী ৩, হাতিয়া ১১, কক্সবাজার ৫, কুতুবদিয়া ১৫, শ্রীমঙ্গল ৫, খুলনা ১৫, মংলা ১১, সাতক্ষীরা ৬, যশোর ১০, বরিশাল ৭, পটুয়াখালী ২৬, খেপুপাড়া ৮ ও ভোলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ মি.মি.। এদিন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া বিভাগের কাছে কোন তথ্য নেই।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হাল্্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের দক্ষিণাংশে মাঝারী ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘন্টা বৃষ্টিপাতের প্রবনতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

সাগর উত্তালমধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া বিভাগ থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ (তিন) নম্বর পুনঃ ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকুলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে আরও বলা হয়,গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপের কেন্দ্রে সাগর উত্তাল রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ