শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পলাশে কালের সাক্ষী পলো দিয়ে মাছ শিকার

পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতা : নরসিংদীর পলাশে যুগ যুগ ধরে চলছে পলো দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব। পলাশের বিভিন্ন খাল-বিল ও রেলওয়ের নিঁচু জলাশয়ে এ বছর সরকারী ভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করার ফলে গত বছরের তুলনায় এবার বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের উৎপাদনও বেশি। তাই পলো দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে কোন না কোন মাছ পাওয়াই যাচ্ছে। আগের মত আর মাছবিহীন বাড়ি আসতে হয় না। গত রোববার পলাশের ঐতিহ্যবাহী বালুচর বিলে প্রায় সহস্রাধিক মৎস্য শিকারী পলো নিয়ে মাছ ধরতে আসে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে প্রায় পাঁচ-সাত মাইল দূর থেকেও সাইকেল যোগে মৎস্য শিকারীরা চলে আসেন মাছ শিকার করতে। এ যেন তাদের এক নেশায় পরিণত হয়েছে। শুনলেই হলো অমুক বিলে পলো বাইস হবে তা হলে আর থেমে নেই। এ যেন কঠিন এক নেশা। গাজীপুরের মোক্তারপুর থেকে পলো নিয়ে মাছ  ধরতে আসা দুলাল মিয়া (৫০) কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমার বাবাও পলো দিয়ে মাছ শিকার করত। আমিও ছোট বেলা থেকেই পলো দিয়ে মাছ শিকার করি। এ যেন আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। মাছ ধরতে না গেলে আমার ভালই লাগে না। আজকেও আসছি এবং একটি কাতল মাছ পেয়েছি। যার ওজন ছয় কেজির মত হবে। নিজে মাছ ধরে খাওয়ার মজাই আলাদা। বিশেষ কথা হলো বিষাক্ত ফরমালিন মুক্ত মাছ খাইলাম। পলাশের সিরাজ সরদারের ছেলে আমজাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি সখের বশবর্তি হইয়া গত বছরও বালুচরের এই বিলে পলো নিয়ে মাছ ধরতে আসি এবং প্রায় দুই কেজি ওজনের একটি সোনালী রঙ্গের কারফু মাছ পেয়েছিলাম। এবার এখন পর্যন্ত কোন মাছ পাইনি তবে হাজারো পলোইয়াদের সাথে পলোবেয়ে আনন্দ পেয়েছি।
তবে আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে কিছু দুশ্চরিত্র লোকদের দ্বারা কষ্টও পাইতে হয় যেমন- গতকাল বিলে মাছ শিকার করতে আসা ৪৫ বছরের এক লোককে বিলের পাড়ে অবস্থিত মালেকার বাড়ির পাশে পলো দিয়ে মাছ শিকার করা অবস্থায় মালেকা ইটের বড় কনা দিয়ে ঢিল দিলে তার মাথায় রক্তাক্ত জখম হয় এবং সমস্ত পলোয়ারা তার বাড়িতে তেড়ে যায়।
এ সময় মালেকার ছেলে মেয়েরা ক্রন্দনরত অবস্থায় তাদের হাতে পায়ে ধরে কোন রকম প্রাণে রক্ষা পায় এবং মালেকাকে শাসায়। তার এ ধরনের বেপরোয়া ও অসামাজিক কার্যক্রমের কারণে তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ