শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ -সর্বধর্মীয় সম্প্রীতিসভা

সর্বধর্মীয় সম্প্রীতিসভা বিগত ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে, সদর সংলগ্ন কিছু এলাকার এবং হবিগঞ্জ জেলার দুটি গ্রামে একদল দুষ্কৃতকারী কর্তৃক হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দিরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে; একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ভাই-বোনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও একাত্মতা পোষণ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবৃতি দেন সর্বধর্মীয় সম্প্রীতিসভার চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুকমোল বড়ুয়া, কো-চেয়ারম্যান, ড. ফাদার তপন ডি রোজারিও, জেনারেল সেক্রেটারি শরীফ বায়জীদ মাহমুদ এবং ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক কর্নেল অব. আশরাফ আল দীন ও সদস্য সচিব মো: আবেদুর রহমান।

তারা বলেন, বাংলাদেশে ধর্মের নাম ব্যবহারকারী জঙ্গিপনার উৎকট ও রক্তাত্ব উত্থান প্রতিহত করে দেশের আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গেয়েন্দা সংস্থা জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তার মনোভাব ফিরিয়ে এনেছিল। ফলে এ বছর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মহাধুমধামে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা, হিন্দুদের শারদীয় দুর্গাপূজা ও বৌদ্বদের প্রবারণ পূর্ণিমা বেশ কাছাকাছি সময়ে উদযাপিত হয়। এই পটভূমিতে কালীপূজার পরদিন নাসিরনগরে ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা বাংলাদেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা আশংকা করি। তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নাসিরনগরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে দেশের আরও কয়েকটি জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অন্ধকারে থাকা কোন অপশক্তি কলকাঠী না নাড়লে এসব ঘটার কথা নয়।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসির নগরের হামলার ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন যে, হিন্দুদের জায়গাজমি দখলের মতলবে এসব কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তার মূল্যায়ন উড়িয়ে দেয়া যায় না।

তারা আরো বলেন, বেদনাদায়ক বাস্তবতা হচ্ছে, নাসিরনগরের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপের খেলা শুরু হয়ে গেছে। এতে হামলাকারী প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ এই বিপদের দিনে সবার আগে দরকার হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। তাদের মনে আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনা এবং প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের হাতে সোপর্দ করা।

তারা বলেন, নাসিরনগরের ঘটনায় আমরা লক্ষ্য করেছি যে, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলায় বাধা দিতে গিয়ে প্রতিবেশী মুসলমানদের দুজনের মাথা ফেটেছে। জনাদশেক আহত হয়েছেন। এরাই চিরায়ত বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রকৃত প্রতিনিধি। তাদের দেখানো পথে এগিয়ে নিয়ে আমাদের সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ়তর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সক্রিয় হবার জন্য তারা ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ