বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কুমারখালীতে শীতের আমেজ ॥ লেপ তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চলতি শীত মওসুমে কার্তিকের প্রথম থেকেই হালকা শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মধ্য রাত থেকে ভোর হতেই হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে গাছের পাতায়। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু স্বাগত জানাচ্ছে আসন্ন শীতকে। শীত শুরু হলেই নানা প্রকার শীত বস্ত্রের সাথে লেপ-তোষকের দামও বেড়ে যাবে। তাই অনেকেই আগে-ভাগেই ছুটছে লেপ-তোষকের দোকানে। ফলে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগর তথা ধনুরিদের। ইতোমধ্যেই কুমারখালী শহরের লেপ-তোষকের দোকানে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। এছাড়াও উপজেলার পান্টি, আলাউদ্দিন নগর, কয়া, শিলাইদহ, বাঁশগ্রাম, নন্দলালপুর, চৌরঙ্গী বাজারগুলোতে ছোট-ছোট দোকানেও লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে। প্রায় ৭/৮ মাস কর্মহীন হয়ে বসে থাকা লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা তাদের ব্যবস্তা নিয়ে শুরু করেছে কর্মযজ্ঞ। দিনের পর দিন পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ছে, সেক্ষেত্রে লেপ-তোষকের দামও গতবারের তুলনায় এবার বেশ বেড়ে গেছে। কুমারখালী শহরের পৌর মার্কেটে অবস্থিত কয়েকটি লেপ তোষকের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে তুলা ও কাপড়ের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি লেপ তৈরিতে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার যা প্রায় ৩/৪ শত টাকা বেশি। প্রতি কেজি কারপাশ তুলা ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, শিমুল তুলা ৩০০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা ২০ টাকা থেকে ৭০ টাকা এবং নারিকেলে ছোবড়া ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা গার্মেন্টস তুলা দিয়েই লেপ-তোষক তৈরির প্রতি ঝুকছে। কুমারখালী বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন জানান, নতুনের পাশাপাশি অনেকেই পুরাতন লেপ-তোষক ভেঙ্গে তার সাথে কিছু নতুন তুলা দিয়ে নতুন করে লেপ তৈরি করিয়ে নিচ্ছে। তিনি জানান, এবারের শীতের আগমনের আভাস দেখে মনে হচ্ছে এবছর শীতের তীব্রতা বেশি হবে। সেক্ষেত্রে ব্যবসাও ভালো হতে পারে বলে তিনি আশা করেন। এদিকে শীত পড়তে শুরু করায় পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায়ীরাও তাদের শীতবস্ত্র নিয়ে পশরা সাজিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতাল ও ডাক্তারের কাছে বাড়ছে রোগিদের ভীড়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ