বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার: অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে(প্রান্তিকে) রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা সংকট, ডলার ও ইউরোর দরপতন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের এককভাবে শীর্ষ ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা কমা এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডলারের দাম পুনর্র্নির্ধারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ চেয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা।
এসব প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের দাম কমায় মূল্য নিয়ে প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে এ খাত। এ অবস্থায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডলারের দাম পুনর্নির্ধারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ চেয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা।
নানা চ্যালেঞ্জের পরেও গেল অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রফতানিতে ১০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে তৈরি পোশাক খাত। এ ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থ বছরে এ খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে বছরের শুরুতে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় কিছুটা বিপাকে পড়ে এ শিল্প।
তবে এ সংকট কাটলেও টাকার বিপরীতে ডলারের দরপতন, ব্রেক্সিটসহ বিশ্বে সাম্প্রতিক নানা পরিবর্তনে তৈরি পোশাকের দাম কমে গেছে। ফলে গত চার মাসে রপ্তানিতে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়নি এ খাতে।
বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন. ব্রেক্সিটের ফলে ইউরোর দাম কমে গেলো, পাউন্ডের দাম কমে যাচ্ছে, মার্কিন নির্বাচন এর ওপরে পৃথিবীতে একটা অস্থিরতা আছে নিরাপত্তা নিয়ে। এখন অর্ডার কম আসছে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের দাবি ভিয়েতনাম, চীন ,ভারতসহ প্রতিদ্বন্দ্বী সব দেশ ডলারের বিপরীতে নিজস্ব মুদ্রার মান কমালেও ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। এ অবস্থায় প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখতে ও রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি চান রপ্তানিকারকরা।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের প্রাইজ সক্ষমতা কমে এসেছে প্রতিযোগী দেশেরে সাথে বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান তাদের কিন্তু মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম কমেছে তখন একাধিকার রিভিউ করা হয়েছে।
এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, যেভাবে আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর কথা সেভাবে হয়তো আমরা পৌঁছাতে পারবো না। কাভার করতে পারতাম যদি নতুন ফ্যাক্টরি আসতো বা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারতাম। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে যদি গ্যাসের সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়া হয় তাহলে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৯’শ ৫১ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৮’শ ৮২ কোটি ডলার। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৬৯ কোটি ডলার।০০

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ