মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর গুলিতে ২৫জন বেসামরিক নাগরিক নিহত
অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মুসলমানদের গ্রামগুলোতে গুলোতে হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মুসলিম নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতনও চালানো হচ্ছে।
শনিবার সেনাবাহিনীর গুলিতে দেশটির রাখাইন রাজ্যের অন্তত ২৫ জন আরাকান মুসলিম বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তবে, সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহতরা রামদা জাতীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
এর আগে হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামে গুলিবর্ষণ করার ঘটনা স্বীকার করে দেশটির সরকার।
এ ঘটনার পর সেখানকার মানুষজন নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, শনিবার সৈন্যদের ওপর একদল লোক আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি এবং বল্লম নিয়ে হামলা চালানোয় দুজন সৈন্য এবং ছয়জন হামলাকারী নিহত হবার পর, ঐ এলাকায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।
গতমাসে গণমাধ্যমকর্মীদের এক সফরে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর দেখা যায় (ছবিটি ১৪ই অক্টোবরের)
সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একপর্যায়ে প্রায় ৫০০ মানুষ সেনাদলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে, সৈন্যদের সাহায্যার্থে দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে রোহিঙ্গা গ্রামে গুলি চালানো হয়।
তবে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নতুন প্রকাশিত ছবিতে "ব্যাপকহারে ধ্বংসযজ্ঞ" দেখা যাচ্ছে যা "পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি"।
মিয়ানমার সরকার এসব সংঘর্ষকে হামলাকারীদের খোঁজে 'ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' হিসেবে অভিহিত করছে।
মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত সরকার রোহিঙ্গাদেরকে সব ধরনের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, ফলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা রাষ্ট্রীয় নির্মূল অভিযানের শিকার হওয়ার পাশাপাশি স্টেটলেস অবস্থায় চরম মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
ডি.স/আ.হু