শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ওয়ালটনের বেস্ট ব্র্যান্ড এ্যাওয়ার্ড লাভ

উচ্চ মানের পণ্য, সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা, সাশ্রয়ী মূল্য এবং গ্রাহকের আস্থার প্রতিফলন পাচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। দেশের গন্ডি পেরিয়ে ওয়ালটন এখন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। দেশ-বিদেশে ওয়ালটন অর্জন করেছে বেশকিছু সম্মানজনক এ্যাওয়ার্ড। সবর্শেষ গত ১৯ নবেম্বর রেফ্রিজারেটর ক্যাটাগরিতে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড এ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে ওয়ালটন। সব মিলিয়ে ওয়ালটনের পুরষ্কারের সংখ্যা প্রায় দুইশ’। 

কর্তৃপক্ষের দাবি, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন অনেক আগেই নিজেকে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রমাণ করেছে। এর স্বীকৃতি স্বরূপ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্জন করেছে অসংখ্য পুরস্কার। উচ্চমানের পণ্য দিয়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন, দেশীয় পণ্যের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি, সিংহভাগ বাজার দখল, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি, বেকারত্ব হ্রাসের পাশাপাশি দেশে সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি খাতের দ্রুত বিকাশে বিশেষ অবদানের ফলেই মিলছে এসব স্বীকৃতি।  

বলা চলে, আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করে দেশের প্রযুক্তি পণ্য খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে ওয়ালটন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত হোম ও কিচেন এ্যপ্লায়েন্সেস সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রেতাদের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি, দেশে সমজাতীয় আমদানি পণ্যের দৌরাত্ব্য হ্রাস করে অর্থনীতিতে রাখছে বিশেষ অবদান। যেসব পণ্য একসময় বাংলাদেশ আমদানি করতো, ওয়ালটন সেসব পণ্য এখন রফতানি করছে। উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য খাতের দ্রুত বিকাশের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আর এসকল কাজের স্বীকৃতিও পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। 

ওয়ালটন সূত্রমতে, প্রতিবছরই দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে তারা। গত ১৯ নবেম্বর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড গবেষণা প্রতিষ্ঠন কান্তার মিলওয়ার্ড ব্রাউন দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত ’বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়াড-২০১৬’ তে রেফ্রিজারেটর ক্যাটাগরিতে সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পায় ওয়ালটন। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ড পেল দেশীয় ব্র্যান্ডটি। এর আগে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ওয়ালটন। 

গতবছর ডিএইচএল ও ডেইলি স্টার আয়োজিত ‘বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে ’বেস্ট এন্টারপ্রাইজ অব দি ইয়ার-২০১৪’ পুরস্কার দেয়া হয় ওয়ালটনকে। কর্মী নিয়োগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বীকৃতি স্বরূপ গত বছর বিডিজবসডটকম দিয়েছে ‘বেস্ট এ্যাম্পেøায়ার অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’। 

সূত্রমতে, সেরা ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং লিডারশীপের স্বীকৃতিস্বরূপ গতবছর ওয়ালটনকে মালয়েশিয়াতে ‘এশিয়ান কনফেডারেশন অব বিজনেস’ কর্তৃক আন্তর্জাতিক লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরে ওয়ালটনকে ’গ্লোবাল ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার প্রদান করেছে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড কংগ্রেস। 

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (পিআর এন্ড মিডিয়া) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, দ্রুত বাজার সম্প্রসারণ, দেশের সিংহভাগ মার্কেট শেয়ার দখল, দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশীয় পণ্য ব্যবহারে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধকরণ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য রফতানি এবং ভোক্তা সন্তুষ্টিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের ফলেই অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করছে ওয়ালটন।  

চলতি বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতে (ডিআইটিএফ) সরকারি কোষাগারে সর্বোচ্চ ভ্যাট দিয়ে ওয়ালটন টানা ৫ম বারের মতো অর্জন করে সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার। তারও আগে টানা পাঁচ বছর শীর্ষ ভ্যাটদাতার তালিকায় ছিল ওয়ালটন। তখন ডিআইটিএফে এই ক্যাটাগরিতে কোনো পুরস্কার দেয়া হয় নি। 

২০১৬ তে অনুষ্ঠিত ডিআইটিএফ-এ সেরা প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরির প্রথম পুরস্কারও জমা হয় ওয়ালটনের ঝুড়িতে। যা কিনা ২০১৪, ২০১৩ ও ২০০৯ সালের ডিআইটিএফেও পেয়েছে ওয়ালটন। ১৩ বছর বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়ে প্রতিবারই শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান ছিনিয়ে এনেছে ওয়ালটন। 

চায়নাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্যান্টন ফেয়ারের ৫৯ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম অংশ নেয় বাংলাদেশী কোনো ইলেকট্রনিক্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সম্প্রতি নাইজেরিয়ার লাগোস আন্তর্জাতিক মেলায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করে ওয়ালটন। সার্ক বাণিজ্যমেলা সহ বিশ্বের বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশে এবং বিদেশে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ২০০ এ্যাওয়ার্ড বা পুরষ্কার পেয়েছে ওয়ালটন। 

ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর (পিআর এন্ড মিডিয়া) ফিরোজ আলম বলেন, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও অসংখ্য কালার, সাশ্রয়ী মূল্য, ৩৬ মাসের দীর্ঘমেয়াদী সহজ কিস্তিতে পণ্য প্রাপ্তির সুযোগ, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট এবং সর্বোপরি দেশীয় পণ্য বিধায় গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যাপক প্রতিযোগী সক্ষম হয়ে উঠেছে ওয়ালটন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় ক্রেতাদের দৃষ্টি কেড়েছে আমাদের পণ্য। তারই স্বীকৃতি হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড। যাতে প্রকারান্তরে বাংলাদেশেরই ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখন সুনামের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ