শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজনীতি থেকে সরে নিজের কাজে মন দিতে চান ইভানকা

২৪ নবেম্বর, ফরচুন/ দ্য হলিউড রিপোর্টার/ওয়াশিংটন মেইল/ইয়াহু নিউজ : ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভানকা  বাবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে আলোচিত হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরও তার সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। এমনও খবর ছড়িয়েছে পিতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আসলে আড়াল থেকে নিয়ন্ত্রণ করে কন্যা ইভানকাই।
ইভানকাকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল ইভানকা ট্রাম্পের রাজনৈতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্বে থাকবেন। তবে ইভানকা তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্ট  জানিয়েছেন, তিনি আসলে রাজনীতিতে থাকছেন না। বরং তিনি তার নিজের কাজের দিকেই মনোনিবেশ করবেন। রাজনীতি তার ব্যক্তিগত সামাজিক কাজের ক্ষতিসাধন করছে।
আমেরিকার নারী ও পরিবারের সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইভানকা নিজের দল নিয়ে একটি সামাজিক মাধ্যমে কাজ করেন। ইভানকা নিশ্চিত করেছেন তার পিতার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই তার নিজের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান। নিজের দল নিয়ে নারী উন্নয়নের লক্ষ্যেই তিনি কাজ করেন।
তাকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যে-সব খবর ছড়িয়েছে এতদিন সেগুলো সম্পর্কে বলেন, সংবাদ মাধ্যমে যখন কোনো খবর ছড়ায় অবশ্যই সবাই সেগুলোর একটা গুরুত্ব দেয়। কিন্তু, এখন আমি নিশ্চিত করছি বাবার অফিসের বাইরেও আমার নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজ আছে। এবং সেজন্য আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবো না। এদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে নিউ ইয়র্কে ম্যানহাটনে অবস্থিত বিলাসবহুল ‘ট্রাম্প টাওয়ার’ থেকে বের হয়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন এখানকার বাসিন্দারা। দ্য হলিউড রিপোর্টারের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্টচ নির্বাচিত হওয়ার পরে আকাশচুম্বি ট্রাম্প টাওয়ারের ৩১ ইউনিটের কোনো ভাড়া হয়নি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
এদিকে ফরচুনের এক প্রতিবেদনে এর মূল কারণ হিসেবে টাওয়ারের পাশের রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম ও আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করেছে। নির্বাচনের পর থেকে বিক্ষোভের কারণে ট্রাম্প টাওয়ারের চারদিকের রাস্তায় জ্যাম লেগেই থাকে। গণমাধ্যমে এই চিত্র প্রকাশের পর ভাড়া ও বিক্রি কমে যায় ট্রাম্প টাওয়ারের। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, একই শহরের অন্য ফ্ল্যাটের বিক্রির তুলনায় ট্রাম্প  টাওয়ারের দাম অনেক কমে বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ১৪ ভাগ কম দামে অনেকে ফ্ল্যাট বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছে। আবার অনেকে অবিক্রিত অবস্থায় ফ্ল্যাট ছেড়ে চলেও গেছে
দ্য হলিউড রিপোর্টার পত্রিকার প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কেন ট্রাম্প টাওয়ার ছেড়ে তারা অন্যত্র চলে যাচ্ছে এবং কেন তারা ছাড়তে চায় ট্রাম্প টাওয়ারের ফ্ল্যাট। চলতি বছরের মার্চের পর থেকে ফ্ল্যাটের ভাড়া ও বিক্রি হ্রাস পায়। আর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অ্যাপার্টমেন্টের দাম ৩৯ ভাগ কমেছে বলেও জানানো হয়। আর যে ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি হয় তা দ্রুত হয় না। ট্রাম্প টাওয়ারের ফ্ল্যাটগুলোর বিক্রি হয় ১৮৮ দিনের মধ্যে যা অন্য বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের গড় বিক্রির সময়ের ৫০ ভাগ বেশি।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে ট্রাম্প টাওয়ারে অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচনের পরে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ট্রাম্প টাওয়ার।
এছাড়া ট্রাম্পের ছোট ছেলে ব্যারনের স্কুলের কারণে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প নিউ ইয়র্কেও এই বাড়িতেই থাকবেন জানানোর পরে এটি গণমাধ্যমের আলোচনায় আসে।  ম্যানহাটনের অন্য বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের দাম বেশি হলেও ট্রাম্প টাওয়ারের দাম কমছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ