জামিন পেয়েও বের হতে পারছে না বন্দী কাশেম
ঝালকাঠি সংবাদদাতা : ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারী রাত ৮ টার দিকে ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করা একটি বাসে অগ্নিকান্ড ঘটায় দুর্বৃত্তরা। গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা আবুল কাশেম আগুনে তাপে উঠে বসে পড়ে। বাহিরের লোকজন হৈ চৈ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আসলে গাড়ির মধ্য থেকে টেনে বের করা হয় তাকে। সময়টি ছিলো বিএনপি-জামায়াতের আওয়ামীলীগ সরকারকে পতন ঘটানোর আন্দোলন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে ছুটে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ বাদী হয়ে কাশেমকে প্রধান আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা নং-২০/১৫ দায়ের করে। পরে প্রমাণিত হয় আবুল কাশেম মানসিক বিকারস্থ। প্রক্রিয়া অনুযায়ী কারাবন্দি অবস্থায় তাকে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা দেয়ার ফলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে। প্রায় ২ বছর কারাভোগের পর চলতি বছরের ২২ নভেম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ রমনী রঞ্জন চাকমা লিগ্যাল এইডে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীর জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্তির ১১ দিনেও কারাগারে বন্দী অবস্থায় দিন যাপন করছেন কাশেম। জামিন প্রাপ্তির পর আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে কাশেম জানান, গাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে আইছি (আসছি)। রাতে খালি গাড়ি পেয়ে মধ্যে ঢুকে ঘুমাইছি। আগুনের তাপে ঘুম ভাঙলে আমাকে পা ধরে টেনে লোকজন বের করে। হেরা (তারা) মনে করছে আমিই আগুন দিছি। পরে আমারে জেলে দেছে।
জেলার মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, কাশেমের বাড়ি কেরানীগঞ্জের দুর্গম এলাকায়। পরিবারের অবস্থায় তেম ভালো না। কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে তার বাড়ির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। সোমবার নাগাদ তার ভাইয়ের আসার কথা রয়েছে।
জেল সুপার মোঃ আলমগীর হুসাইন জানান, উপযুক্ত জামিনদারের অভাবে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছিল না। কোন উপযুক্ত জামিনদার আসলে আমরা তাহলে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি।