ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ভোমরার সাইজের একটা পাখি ওড়ে কিভাবে?

অনলাইন ডেস্ক : নাম হলো হামিংবার্ড,যারা বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পাখিদের অন্যতম৷ ‘হামিং' বা গুন গুন শব্দটা হলো তাদের পাখার আওয়াজ, যা তারা সেকেন্ডে ৫০ বার করে ঝাপটায়৷ সেকেন্ডে এক হাজার ফ্রেমের ক্যামেরায় তার ছবি তোলা যায়৷

পৃথিবীর সমস্ত উষ্ণশোণিত জীবজন্তুর মধ্যে হামিংবার্ডদের মেটাবলিজম বা বিপাকের হার সবচেয়ে বেশি৷ তার কারণ, হামিংবার্ডরা যেভাবে ওড়ে, তাতে তাদের বিপুল পরিমাণ এনার্জি খরচ হয়৷ ফলে হামিংবার্ডদের দিনে অন্তত তাদের নিজেদের যা ওজন, সেই পরিমাণ মধু আহরণ করতে হয় - ফুল থেকে ফুলে উড়ে, লম্বা চোঁচের মতো ঠোঁট ঢুকিয়ে, কিবা দিন কিবা রাত, এমনকি বৃষ্টিতেও হামিংবার্ডদের মধু আহরণ করে যেতে হবে৷

একজন ৭৫ কিলোগ্রাম ওজনের মানুষের যদি হামিংবার্ডদের মতো মেটাবলিজম বা হজম করার ক্ষমতা থাকত, তাহলে তাকে দিনে তিনশ'র বেশি হ্যামবার্গার খেতে হতো! এই ভিডিওতে যে সব হামিংবার্ড দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তারা তো তবু ‘বড়', মানে ল্যাজ আর ঠোঁটসুদ্ধু তাদের দৈর্ঘ্য তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি৷ পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি হলো কিউবার ‘বি হামিংবার্ড' বা মৌমাছি হামিংবার্ড, যে লম্বায় আড়াই ইঞ্চি আর যার ওজন দেড় গ্রাম!

খাবার, মানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মধু না পাওয়া গেলে, অথবা রাত্রে বিশ্রাম নেওয়ার সময়, হামিংবার্ডদের এক ধরনের ঝিমুনি আসে, যা কিনা অনেকটা হাইবারনেশন বা কিছু কিছু জীবজন্তুর শীতনিদ্রার মতো৷ তখন তাদের মেটাবলিজমের হার কমে পনেরো ভাগের এক ভাগ হয়ে যায়৷

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট এই পাখিগুলো শুধু সাইজে পোকামাকড়দের মতো নয়, এরা পোকামাকড়দের মতোই সামনে কি পিছন দিক করে উড়তে পারে, কিংবা বাতাসে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, যাকে পরিভাষায় বলা হয় ‘হোভারিং', যেন হেলিকপ্টার৷ আসল কথা হলো, উড়তে উড়তেও ফুলের মধ্যে ঠোঁটটা স্থির রাখতে হবে৷ নয়তো মধু আসবে কি করে? সূত্র:ডয়চে ভেলে। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ