শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আজ মওলানা ভাসানীর ১৩৬তম জন্মবার্ষিকী

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১২ ডিসেম্বর সোমবার স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৬তম জন্মবার্ষিকী। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শরাফত আলী খান। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ভাসানী ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান। ১৯০৩ সালে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ইসালামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ যান। দুই বছর সেখানে অধ্যয়ন করে আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ময়মনসিংহ সফরে গেলে তার ভাষণ শুনে ভাসানী অনুপ্রাণিত হন। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাভোগ করেন। ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্বরাজ্য পার্টি গঠন করলে ভাসানী সেই দল সংগঠিত করার ব্যাপারে ভূমিকা পালন করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় ভাসানী মওলানা। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়।

১৯৪৯ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ যা আজকের আওয়ামী লীগ। মওলানা ভাসানী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৫৭ সালে স্বায়ত্ত শাসন প্রশ্নে মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে গঠন করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ। ১৯৭৬ সালের ১৭ নবেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দেশবরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা আর আধিপত্যবাদী বিরোধী সংগ্রামে মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৬ম জন্মবার্ষিকীতে গভীরতম শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বাণীতে বলেছেন, আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন চির বিপ্লবী মওলানা ভাসানী। শাসকগোষ্ঠীর অবহেলা আর অনাদরের কারণে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে মুছে ফেলতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী সাম্রাজ্যবাদী আর আধিপত্যবাদী শক্তির দোসররা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ