ঢাকা, বৃহস্পতিবার 28 March 2024, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

১৫ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক : বিচারিক আদালতের বিচারকদের জন্য আলাদা শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলন, ‘আপনারা তো মাসদার হোসেন মামলার রায় মেনে নিয়েছেন। সেই মামলার যে দিকনির্দেশনা ছিল তার ৮০ ভাগ কার্যকর হয়ে গেছে। বাকি যে নির্দেশ আছে তা থেকে তো পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়।’

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য দুই মাস সময় চাইলে প্রধান বিচারপতি কোনো সময় না দিয়ে এ বিধি প্রকাশের নির্দেশ দেন।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, এ বিধি অধঃস্তন বিচারকদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। এটা সবার জন্যই ভালো।’

এ ছাড়া আপিল বিভাগের তলবের ভিত্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

গতকাল রোববার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

গত ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।

গত ৬ নভেম্বর সে অনুসারে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেননি।

পরে আপিল বিভাগ বিধিমালা চূড়ান্তের বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা লিখিতভাবে জানাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়ে ৭ নভেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন।

ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল আট সপ্তাহের সময়ের আবেদন জমা দেন। যাতে বিধিমালাটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন তিনি। সর্বোচ্চ আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন।

২৪ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইলে আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করেন। পরে ১ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী ফিলিপাইনে রয়েছেন বলে ফের এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। সময় মঞ্জুরের পর ৮ ডিসেম্বর আবেদনটি আবার কার্যতালিকায় আসে। এরপরও গেজেট না করায় দুই সচিবকে আদালতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ