বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কাল

সাদেকুর রহমান : আগামীকাল বুধবার সেই বেদনাঘন ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ঊনিশশ’ একাত্তর সালের এ দিনটি ছিল মঙ্গলবার। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংসতম ঘটনাটি ঘটে শীতার্ত এই দিনে। আমাদের জাতীয় জীবনের আরেক শোকাবহ দিন এটি। বিজয়ক্ষণে বাংলাদেশ তার বিশিষ্ট ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারায়। এ উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। 

এ দিন রেডিও শুনতে শুনতে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী তার স্ত্রী লিলি চৌধুরীকে ডেকে গভীর প্রত্যয়ে বলেছিলেন, ‘আর মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা বাকি আছে দেশ স্বাধীন হতে।’ কিন্তু ঘাতকরা তাকে স্বাধীনতার লাল সূর্য দেখতে দেয়নি। শুধু মুনীর চৌধুরীকেই নয়, বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করে যেনো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য শত্রুরা নিখুঁত পরিকল্পনায় বেছে বেছে হত্যা করে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রবর্তী ব্যক্তিদের। ধীমান, অনন্য মনীষা সেসব ব্যক্তিত্বের প্রতি জাতির সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তাদের স্মরণে প্রতি বছরই যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

সেইসব ক্ষণজন্মা ব্যক্তিদের স্মৃতি স্মরণে রাজধানীর মিরপুরে নির্মিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধে শ্বেতপাথরে খোদিত রয়েছে তাদেরই অমরত্বের কথা- ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,/ভয় নাই, ওরে ভয় নাই-/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান,/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ কবিতার মতো করেই শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। তবে তাদের হারানোর বেদনায় স্বজনসহ দেশবাসী আজো কাতর। তাদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ফুলেল ভালোবাসা জানাতে আজ ভোর থকেই সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামবে সেদিনের সেই নারকীয় হত্যাকান্ডের স্মৃতিবিজড়িত রায়ের বাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভে। 

ইতিহাস বলে, একাত্তর সালে টানা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন শত্রুদের হাত থেকে জাতি পরম মুক্তির প্রহর গুণছিল, ঠিক তখনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর ঘাতকচক্রের হাতে প্রাণ হারান বাংলাদেশের মেধা ও মননের ধারক, প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদগণ। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয়ের পূর্ব মুহূর্তে দেশকে মেধা, শিক্ষা, সংস্কৃতিশূন্য করার হীনমানসিকতা থেকেই পঁয়তাল্লিশ বছর আগে এমনি একদিনের নীলনকশা অনুযায়ী ঠান্ডা মাথায় মানব সভ্যতার অন্যতম বর্বর ও কাপুরুষোচিত এই হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়। 

গা শিউরে ওঠা সেই দিনে অকল্পনীয় নিষ্ঠুর কায়দায় হত্যা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব (জিসি দেব), অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আ ন ম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক শিলালিপি পত্রিকার সম্পাদিকা বেগম সেলিনা পারভীন, ডা. আবুল খায়ের, ডা. রাশিদুল হাসান, ডা. ফজলে রাব্বী, ড. আবুল কালাম আজাদ, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. ফজলুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ সাদেক, ড. ফয়জুল মুতী, আব্দুল মুক্তাদীর, সন্তোষ ভট্টাচার্য, আবুল বাশার চৌধুরী, সাহিত্যিক-সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বুদ্ধিজীবীকে। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ঢাকার রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে অনেকের গলিত লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। বাকিরা রয়ে যায় নিখোঁজ, অজ্ঞাত। 

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাপিডিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংখ্যা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী। স্বাধীনতা লাভের পর দীর্ঘ সাড়ে চার দশকেও বুদ্ধিজীবী হত্যার কোন কিনারা আজো হয়নি। বুদ্ধিজীবীদের কে কোথায় কিভাবে শহীদ হয়েছেন তারও কোন কিনারা হয়নি। তাদের পরিবারবর্গও জানতে পারেনি প্রিয় এই মানুষগুলোর লাশ কোথায়? এ নিয়ে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যা রহস্য উন্মোচন এবং দোষীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবের মুখ দেখেনি।

বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কবি আসাদ চৌধুরী তার ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “১৪ ডিসেম্বর গবর্নর হাউজে গবর্নর ডা. মালিক, চরমপত্রের ভাষায় ‘ঠেটা মালিক্যা’, মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠকের ব্যাপারে রাও ফরমান আলী এবং চীফ সেক্রেটারি মুজাফফর হোসেনের সায় ছিলো। মন্ত্রিসভার বৈঠক বসছে এগারোটায়, ভারতীয় মিত্রবাহিনী পাকিস্তানী ওয়্যারলেসে সংবাদ ধরে ঠিক এগারোটায় যে রুমে বৈঠক বসেছিল সেখানে উপর্যুপরি রকেট বর্ষণ করে। বিমান হামলা বন্ধ হতে না হতেই চীফ সেক্রেটারি, পুলিশের আইজি এবং অন্যান্য কর্মকর্তা পালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মালিক সাহেব পদত্যাগ করে ঢাকায় আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রতিনিধি মিস্টার রেনড-এর কাছে আশ্রয় চাইলেন। ঐ দিনই মালিক দলবল নিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টালের (অধুনা বন্ধ পাঁচতারা হোটেল রূপসী বাংলা) নিরাপদ আশ্রয়ে হাজির হলেন। ডা. মালিকের এই সিদ্ধান্তে নিয়াজীর মনোবল আরো ভেঙ্গে যায়। নিয়াজী তখনও মার্কিন সপ্তম নৌবহরের প্রত্যাশায় বলছেন, ‘একেবারে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাবো।’ ঢাকার বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে এবং হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার জন্য তখনও বেতারে (ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা) মানেকশ’র ভাষণ বার বার প্রচারিত হচ্ছে। নিয়াজী শর্তসাপেক্ষে আত্মসর্পণের প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্ণা দিচ্ছেন।”

এ দিন কাদেরিয়া বাহিনীসহ (যার প্রধান ছিলেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম) ভারতীয় ১০১ কম্যুনিকেশনের একটি অংশ গাজীপুর জেলার শফিপুরের মৌচাকে পরাজিত করে পাকবাহিনীকে। যৌথ বাহিনীর জন্য দলটি সেদিন সাভার নবীনগরের বিকল্প পথ ধরে ঢাকার দিকে অগ্রসর হয়েছিল। নবীনগরে ঢাকা-যশোর সংযোগস্থলে আসার পর যৌথবাহিনী হানাদার বাহিনীকে আক্রমণ করেছিল। যৌথবাহিনীর একটি অংশ ১৫ ডিসেম্বর মিরপুর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৪ ডিসেম্বর লে. জেনারেল একে নিয়াজীকে আত্মসমর্পণ করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন।

এদিকে বিজয় অর্জনের প্রাক্কালে এদিন মুক্তিযুদ্ধের যৌথ কমান্ড মিত্রবাহিনীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে রাজধানী ঢাকা। দখলদার বাহিনীর সবকয়টি ডিভিশন ইতোমধ্যেই সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হানাদারদের উত্তর সেক্টরের ময়মনসিংহ ব্রিগেড ঢাকার পথে পশ্চাদপসারণ করলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকা পৌঁছাতে পারেনি। তারা জয়দেবপুরে আটকে পড়ে। মিত্রবাহিনীর অবস্থানের কারণে দখলদার বাহিনীর উত্তর-পশ্চিম সেক্টরের ১৬তম ডিভিশন কিংবা পশ্চিম সেক্টরের ৯ম ডিভিশন কারো পক্ষেই পশ্চাদপসারণ করেও ঢাকার ডিফেন্সে এগিয়ে আসার কোন পথ ছিল না। তাদের প্রতিটি ডিভিশন ইতোমধ্যে যৌথবাহিনীর আক্রমণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ইস্টার্ন কমান্ডের কিছু সৈন্য ঢাকায় আসতে পারলেও তাদের অধিকাংশ সৈন্য ইতোমধ্যে যৌথবাহিনীর হাতে বন্দী হয়। বিভিন্ন রণাঙ্গন থেকে একের পর এক পরাজয়ের সংবাদে দখলদারবাহিনী তখন দিশেহারা ও পরাজয়ের আশঙ্কায় ভীত এক বাহিনী।

এদিন মিত্রবাহিনীর কাছে খবর পৌঁছায়, চতুর্মুখী আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হানাদার বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ১৪ ডিসেম্বর গবর্নর হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন। মিত্রবাহিনী এ বৈঠক পন্ড করার লক্ষ্যে ঢাকায় গবর্নর হাউসে বিমান হামলা চালায়। এ হামলায় গবর্নর হাউস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপায়ন্তর না দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত পূর্ব পাকিস্তান মন্ত্রিপরিষদ পদত্যাগ করে। এসময় চট্টগ্রামে দখলদার বাহিনীর কামানের অবস্থানসহ গ্যারিসন, ওয়্যারলেস স্টেশন, জ্বালানি ডিপো ও বন্দরসমূহের উপর ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে।

বিভিন্ন রণাঙ্গনে ক্রমাগত উড়তে থাকে বাংলাদেশের বিজয় পতাকা। এদিন শত্রুমুক্ত হয় ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুরের পুবাইল, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বৈদ্যের বাজার, বগুড়া জেলার শেরপুর ও শিবগঞ্জ থানাসহ জেলা শহরের একাংশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুরসহ সিরাজগঞ্জ এলাকা, আক্কেলপুর ও পাঁচবিবিসহ জয়পুরহাট জেলা, যশোরের কেশবপুর, রংপুরের মিঠাপুকুর, বান্দরবান, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, পটিয়া ও কুমিড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল প্রভৃতি এলাকা। এদিনই সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলীয় দখলদার বাহিনী প্রধান নিয়াজী ও গবর্নর ডা. মালিকের কাছে যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে এক তারবার্তা পাঠালে চূড়ান্তভাবে ভেঙ্গে পড়ে দখলদার বাহিনীর মনোবল।

এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জাতির পক্ষে প্রত্যুষে মিরপুরস্থ স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত থাকবেন। বিএনপি প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দিবসটি উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়ের বাজার বধ্যভূমি ধোয়ামোছা ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সকল প্রস্তুতি পূর্বাহ্নেই সম্পন্ন করা হয়েছে। জাতীয় দৈনিকসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনসমূহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় ওইদিন যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

কর্মসূচি : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ইত্যাদি কর্মসূচি নিয়েছে। 

এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার বেলা ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। সভায় বিএনপি’র জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ভিসি ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান-প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা, বেলা ১১টায় ভিসির সভাপতিত্বে টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হবে। এছাড়া হলসমূহে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ