শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রামের বায়তুশ্ শরফে ৪ দিনব্যাপী “পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)” মাহফিল সম্পন্ন

চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রামের বায়তুশ্ শরফ আনজুআনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ কর্তৃক পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে ৪ দিনব্যাপী তামাদ্দুনিক প্রতিযোগিতার ৪র্থ দিনে আজিমুশ্শান ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল ১৩ই ডিসেম্বর বাদে মাগরিব বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে পীর সূফী হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (মঃজিঃআঃ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন- আল্লাহর প্রবর্তিত ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিষ্ঠিত ইসলামী জীবনাদর্শের দু’টি দিক ও বিভাগ রয়েছে। এক- জাগতিক, দুই- আধ্যাত্মিক। মানব জাতির জাগতিক জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেমন- ইসলামের পূর্ণাঙ্গ আদর্শ বিদ্যমান; তেমনি আল কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) আধ্যাত্মিক শিক্ষার অনুসরণ ব্যতীত মানব জীবনের সকল কর্মকাণ্ড সারবত্তাহীন খোলসরূপে চিহ্নিত হতে বাধ্য। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) জীবন চরিত্র অধ্যায়ন করলে সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায় যে, তার নবুয়্যাতের সূচনাকালেই জন মানবের সংস্পর্শ ত্যাগ করে হিরা গুহায় ধ্যান মগ্ন অবস্থান গ্রহণের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা সুস্পষ্ট। তাই আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পূর্ণাঙ্গ জীবন আদর্শ ছিল বাস্তব জাগতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়। আধ্যাত্মিকতা  রাসূলুল্লাহর (সাঃ) নবুওয়্যাতি জীবন ও ইসলামী জিন্দেগীর অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহ্তা’আলার স্বয়ং তাঁকে আধ্যাত্মিকতার প্রশিক্ষণ দান করেছেন। তিনি আরো বলেন- খোদা খুশি হন কুরআনের তা’জিমের মধ্যে, খোদা খুশি হন নবীর তা’জিমের মধ্যে। মাহে রবিউল মাস হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাস হলো মানবজাতির মুক্তির মাস। মানবতার পরমবন্ধু বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর শুভ আগমনের কারণে এ মাস অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। রাসূলে পাক (সাঃ) যে আদর্শ নিয়ে এ পৃথিবীতে এসেছিলেন সেই আদর্শ দিয়ে বিশ্ববাসীকে আলোকিত করেছিলেন। তাই মুসলিম উম্মাহকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূলে পাক (সাঃ) সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও নাতে রাসূল (সাঃ) পরিবেশনের পর স্বরচিত কবিতা “নজরে আকিদাত” পেশ করেন বায়তুশ শরফের পীর কেবলা (মঃজিঃআঃ)। ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) এর শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচক ছিলেন- বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (এমএ) মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান, মাওলানা শফিক আহমদ, মাওলানা মীম ছিদ্দীক আহমদ ফারুকী প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ