শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সিলেটে এবার পিযুষের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

সিলেট ব্যুরো : সিলেটের বহুল আলোচিত সমালোচিত সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পিযুষ কান্তি দে’সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দগঞ্জের গুমগুমিয়া গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের ছেলে হারুনুর রশিদ (২৫) গত বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। হারুন বর্তমানে নগরীর বাগবাড়ির শামীমাবাদ আবাসিক এলাকায় বসবাস করছেন।
মামলায় পিযুষ কান্তি দে ছাড়া অন্য আসামীরা হচ্ছেন- নগরীর লামাবাজার (ভাতালিয়া বিলপাড়) এলাকার শফিক আহমদের ছেলে হুজায়েল আহমদ বাপ্পি (২৬), সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের কুলঞ্জ গ্রামের (বর্তমানে রিকাবীবাজারের বাসিন্দা) জামিল আহমদ (৩০), বাগবাড়ি এলাকার তানভীর রেজা খান (২৩), একই এলাকার মুনিম আহমদ (২৩) ও নাবিদ সালেহ (২৮)।
এজহারে  সূত্রে জানা যায়,  গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাদী হারুনুর রশিদ ও তার মামাতো ভাই ফজলে রাব্বি মারুফ বিকেল ৩টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ কাজী ম্যানশন মার্কেটে যান। সেখানে কাজ শেষ করে মার্কেটের সামনে মেইন রোডে আসার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পিযুষ কান্তি দের নেতৃৃত্বে উল্লেখিত আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, জিআই পাইপসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। আসামীদের হামলায় তারা (বাদী ও তার মামাতো ভাই) মাটিতে পড়ে গেলে আসামীরা দুটি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে মির্জাজাঙ্গালে গোপন আস্তানায় নিয়ে যায়। ওই আস্তানায় বাদীর আইফোন ও নগদ ২৫৮০ টাকা আসামীরা ছিনিয়ে নেয়। বাদীর মামাতো ভাইয়ের কাছ থেকে স্যামসাং গ্যালাক্সি জে সেভেন সিক্সটিন ও নগদ ১৩২০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে বিকেল ৪টার দিকে পিযুষ কান্তি বাদী হারুনের চাচাতো ভাই সাফি আহমদের ফোনে কল দিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকিও দেওয়া হয়। হুমকি পেয়ে সাফি আহমদ বাদীর ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার টাকা পাঠান। পরে আসামীরা ওই টাকা ক্যাশ আউট করে নেয়। এছাড়া বাদীর মামাতো ভাই ফজলে রাব্বিকে হুমকি দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর নিয়ে বুথ থেকে আরো ৭ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেয়। বাদীর পরিবার মুক্তিপণের আর কোনো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা বাদী ও তার মামাতো ভাইকে মারধর করে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে রাখে এবং হুমকি দিয়ে বলে, ঘটনা কাউকে জানালে ওই ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেবে। এজাহারে বাদী আরো উল্লেখ করেছেন, আসামীদের গোপন আস্তানা থেকে পালিয়ে আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে থানায় এসে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্তভার এসআই আবদুল আউয়াল ভুঁইয়াকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ