মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর
লালমনিরহাট সংবাদদাতা: ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোদ্দ বিছনদই গ্রামে নিজ নামে ক্রয়কৃত জমির বসতভিটার বাড়ী ভাংচুর, লুটপাটসহ মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে বুধবার বিকালে হাতীবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছেন।
প্রতিবাদ সভায় ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবী জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এলাকাবাসী জানান, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার খোদ্দ বিছনদই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফরিদ উদ্দিন ৭মাস আগে দলিল মূলে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমির উপর বসতবাড়ী তৈরি করে বসবাস করে আসছিল।
এদিকে ওই জমি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদের জন্য গত সোমবার গভীর রাতে সামছুল ইসলাম সুফি’র নেতৃত্বে স্থানীয় ৮/১০ জনের ভূমিদস্যু দল এসে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক-মারপিট করে বাড়ী ঘর ভেঙে দিয়ে চলে যান।
এ সময় ভূমি দস্যুরা ওই মুক্তিযোদ্ধার ঘর থেকে নগদ প্রায় ১ লক্ষ টাকা, ৫ মণ চাল ও ৬ মন বাদামসহ ঘরের লেপ-তোষক, বালিশ নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জানান, গরীব অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিনের বাড়ীঘর তিস্তা নদী গর্ভে চলে গেলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে জমানো টাকা দিয়ে বিছনদই এলাকায় ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। এবং সেখানে বাড়ি নির্মান করে পরিবার পরিজন সহ বসবাস শুরু করেন। কিন্ত স্থানীয় ভূমি দস্যুরা তাদের উচ্ছেদ করে সে জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে।
আমরা সকল মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলে এঘটনার প্রতিবাদ জানাই এবং উপযুক্ত বিচার দাবী করছি। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন ও তার স্ত্রী রাবিয়া খাতুনকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। ঘটনার পর থেকে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছে অসহায় ওই পরিবারটি। হাতীবান্ধা হাসপাতালে গেলে আহত মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন জানান, আসামীরা আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। ভাগ্যক্রমে আমরা বেঁচে যাই। আমাদেরকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে আমার ক্রয়কৃত জমি দখলে নিতে চায় প্রতিপক্ষ।
আমরা এর সঠিক বিচার ও শাস্তির দাবী করছি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভূমিদস্যু সামছুল, সাইফুল, এনছার আলী সহ ৯জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।