শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

অভিযোগে ভারশোঁ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অধ্যক্ষের অভিযোগ অস্বীকার

মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর মান্দায় ভারশোঁ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ কোন আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া চলতি এসএসসি ফরম পুরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর পুর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের লক্ষীর মোড়ে এলাকাবাসীর আয়োজন এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল নিয়ে ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে শিক্ষক আনছার আলীর সভাপতিত্বে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ভারশোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চিতল, এলাকাবাসী ফজলুর রহমান বাবুল, সিদ্দিকুর রহমান, এনামুল হক, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ ব্যাপারে ভারশোঁ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুস সালামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ও তার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, যথা নিয়মে মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে স্থানীয় কতিপয় চিহ্নিত স্বার্থানেষী মহল প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধনে তৎপর ও লিপ্ত রয়েছে। তাদের কথা মত না চলায় এবং অবৈধ দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় শুধু হয়রানি করতে এ সব কিছু করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। 
ওয়াল্টন শোরুমে দুর্ধর্ষ চুরি
নওগাঁর মান্দায় ওয়াল্টন  শোরুমে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের সুতিরহাটের আবু বকর আল মাসুদের ঐ শোরুমে চুরির এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় মহিলাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি হওয়া কিছু  মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে আটক আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
 শোরুমের মালিক আবু বকর আল মাসুদ জানান, ঘটনার দিন রাত ৭টার দিকে তিনি শোরুম বন্ধ করে বাড়ি যান। রাতে  চোরেরা টিনের ছাউনী কেটে  শোরুমের ভেতরে প্রবেশ করে ৭টি এলইডি টেলিভিশন, মুঠোফোন,রাইচ কুকার,সাউন্ডবক্সসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে চম্পট দেয়। একই দিন রাত ১০টার সময় তিনি শোরুম চুরির বিষয়টি জানতে পেরে মান্দা থানা পুলিশে খবর দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলী জানান, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের কারণে এখনই সব তথ্য বলা সম্ভব হচ্ছে না।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহের ভিত্তিতে শোরুমের কর্মচারী একই এলাকার শ্রীরামপুর গ্রামের  ভোলার ছেলে আখের আলী (১৯) কে আটক করেন। আটক আখের আলীর স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্দীর সূত্র ধরে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মাহবুবা খাতুন (৩০) এবং রশিদুল হকের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩২) কে আটক করা হয়। এ সময় আটক মাহবুবা এবং বিলকিসের বাড়ি থেকে চারটি এলইডি টেলিভিশন, একটি রাইচ কুকার এবং একটি সাউন্ডবক্স উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় শোরুম মালিক বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের আটকের অভিযান অব্যহত রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অন্য আসামীদের পরিচয় জানাতে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ