বিএনপিকে ৫ জানুয়ারি জনগণ মাঠে নামতে দেবে না -হানিফ
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিকে ৫ জানুয়ারি জনগণ মাঠে নামতে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বানচালের নামে যারা মানুষ হত্যা করে, তাদের কোনো কর্মসূচি পালনের অধিকার নেই।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথসভায় হানিফ একথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে যৌথসভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন প্রমুখ।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ৫ জানুয়ারি আমরা গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করি। বিএনপি এই দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য ৪৭ জন মানুষকে হত্যা করেছে, সেই ভোটাধিকার হরণকারী,হত্যাকারীদের ৫ জানুয়ারি এ দেশে কোনো কর্মসূচি পালন করতে জনগণ দেবে না।
হানিফ বলেন, জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পর বিএনপি নেতারা মায়াকান্না ও আহাজারি করেন। যখন তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল, তখন কোথায় ছিল এ মায়াকান্না। তাদের পেট্রোলবোমা থেকে শিশুও রক্ষা পায়নি। বিএনপি নেতাদের এই আহাজারিতে প্রমাণ হয় যে জঙ্গিদের সাথে তাদের সম্পর্ক আছে।
হানিফ বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০১৯ সালের শুরুতে অথবা ২০১৮ সালের শেষ পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হঠকারী রাজনীতি বাদ দিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিন। ভুল রাজনীতি করে দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবেন না।
যৌথসভায় খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কোনো কর্মসূচি ঠিকমতো পালন করতে পারে না। ক্রমান্বয়ে বিএনপির অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে। যেহেতু তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তারা আগের অবস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি যখন নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী দিনেও নির্বাচনে তারা অংশ নেবে। আর সেই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন।