ব্রয়লার মুরগি ও রসুনের দাম বৃদ্ধি
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশী থাকায় সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বেড়েছে রসুনের দাম।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে রসুনের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, কালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম ৩০-৪০ টাকা, টেমেটো ৪০-৪৫ টাকা, গাজর ৩০-৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৭৫-৮০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি ঝিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা এবং পেঁপে ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, চাল কুমড়া ১৫ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ১৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শালগম ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা; লেবু হালি প্রতি ১৫ টাকা; আটি প্রতি পালং শাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আলম বলেন, এখন শীতকালিন সবজির ভরা মৌসুম। মাঠে এখন সবজির সমারহ; আমদানিও বেশি। ফলে সব ধরনের সবজি এখন অনেক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে এ দাম বেশিদিন স্থিতিশীল থাকবে না। আবারও আগের জায়গায় ফিরে যাবে।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কেজি প্রতি দেশী মসুর ডাল (দেশী) ১১৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল (দেশী) ১১০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ৯৫ টাকা, মাসকলাই ১৩০ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ১০২ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে দেশী পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশী রসুন ২১০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী আদা ১৫০ টাকা, চীনের আদা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা; লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ টাকা; দেশী মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা; পাকিস্তানী লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর গোশত ৪৫০ টাকা এবং খাসির গোশত ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মাছের বাজারে দেখা যায়, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা; সরপুঁটি ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা; কাতলা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা; তেলাপিয়া ১৪০ টাকা ১৮০ টাকা; সিলভার কার্প ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা; চাষের কৈ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পাঙ্গাস প্রতিকেজি ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা; টেংরা ৬০০ টাকা; মাগুর ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়; ইলিশ কেজি প্রতি (মাঝারি) ১২০০ টাকা এবং দেড়কেজি ওজনের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা।
অন্যদিকে চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে। সব ধরণের চালে প্রতি কেজিতে প্রায় ১ থেকে ২ টাকা করে বেড়েছে। স্বর্ণা চাল ৩৮-৪০ টাকা; পারিজা চাল ৪০-৪১ টাকা; মিনিকেট ভালো ৫২ টাকা; মিনিকেট নরমাল ৪৮-৫০ টাকা; বিআর আটাশ চাল ৪২-৪৪ টাকা; নাজিরশাইল চাল ৪৮-৫৬ টাকা; বাসমতি চাল ৫৬ টাকা; কাটারিভোগ চাল ৭৪-৭৬ টাকা; হাস্কি নাজির চাল ৪০ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।