শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গ্রামীণ জনপদে উন্নয়ন প্রকল্প সমাপ্ত

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা : ‘শেখ হাসিনার দর্শন, সব মানুষের উন্নয়ন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৯ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্র্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী উদ্বোধন হওয়া সরকারের উন্নয়ন মেলায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাঙ্খিত উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগ। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্বরে চলা তিনদিন ব্যাপী সরকারের উন্নয়ন মেলায় এলাকার শিক্ষা খাত অবকাঠামো নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ ও মেরামত, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা আবাসন ভবন নির্মাণ, হাট-বাজার উন্নয়নসহ এলাকার দুস্থ নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের এলজিইডি’র উন্নয়নের এসকল তথ্য তুলে ধরেন আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এলজিইডি বিভাগের স্টলে একনজরে উন্নয়নের সকল তথ্য দর্শকদের জন্য উপস্থাপন করে তা তথ্য পুস্তিকা আকারে বিলি করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন, মনিরুজ্জামান, শ্যামল চন্দ্র হাওলাদার, কার্য সহকারী এসএম আসাদুজ্জামান। উপজেলা প্রকৌশলী রাজকুমার গাইন জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেশ গঠনে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে মাত্র সাতবছরের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর উন্নয়ন প্রকল্প নজরদারীর মাধ্যমে উপজেলা সড়ক ও পল্লী সড়কের মাধ্যমেই এলাকার কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলায় ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতবছরে উপজেলায় মোট ৯০ দশমিক ৩০১ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।  সূত্র মতে, এই সময়ের মধ্যে ৩৫.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি ৬৬.০৬১ কি.মি সড়ক নির্মাণ করা করেছে। চলমান রয়েছে আরও ২১.১৬৬ কি.মি সড়কের কাজ। আগামী দু’বছরে আরও ৫০.৭৮ কি.মি সড়ক নির্মাণ করা হবে। একই সময়ের মধ্যে ১৭.৭৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০.১৬৭ কি.মি পল্লী সড়ক মেরামত করা হয়েছে। এ কাজের চলমান অংশ রয়েছে ৪.৫০ কি.মি সড়ক। সূত্র আরও জানায়, গত সাতবছরে ১০.৬৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলায় ১৬৯.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ২৯টি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৪৫মিটার ব্রীজ-কালভার্টের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আগামী দু’বছরে আরও ৪২০ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। একই বছরে ৩.৫৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি হাট-বাজার নির্মাণসহ একটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও দু’টি হাট-বাজার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে আরও দু’টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও চারটি হাট-বাজার নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এই সময়ের মধ্যে ১৯.১৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ৮টি বিদ্যালয়ের কক্ষ সম্প্রসারণ, ১টি রিসোর্স সেন্টার, ৩টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৫টি বিদ্যালয়, ২টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী দু’বছরে আরও নতুন ৪৫টি বিদ্যালয় নির্মাণের কথা জানান উপজেলা প্রকৌশলী রাজকুমার গাইন। তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপজেলায় ৩.৫৫০কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ হাজার ৫শ’ বর্গফুটের পাঁচতলা ভিত্তির উপর তিনতলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ কাজ শেষের পথে। এছাড়াও অসচ্ছ্বল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঁচটি বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও লোকাল গভর্নমেন্ট কন্টাক্ট সিস্টেম (এলসিএস) প্রকল্পের আওতায় এলাকার ৬৬ জন দুস্থ ও হতদরিদ্র নারীকে দু’বছর মেয়াদী দেড়শ’ টাকা মজুরী হিসেবে কাজের মাধ্যমে দারিদ্র্যতার কষাঘাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ