শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এমপি রানার জামিনের আদেশ কাল

স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে। আগামী কাল বুধবার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্যকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তার সঙ্গে তার তিন ভাইকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা কমিটি।
জামিন আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী বশির আহমেদ। সরকার পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী এটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু বলেন, আমানুর রহমান খান রানার জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। তাকে যে দল থেকে (আওয়ামী লীগ) বহিষ্কার করা হয়েছে, শুনানিতে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত ‘ডে আফটার টুমোরো’ আদেশের জন্য রেখেছেন।
এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। তার আগে গত ২৮ নবেম্বরও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। তারও আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী সমন্বয়ে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদকে হত্যা করে শহরের কলেজ পাড়ায় তার বাসার সামনে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা দীর্ঘদিন তদন্তের পর সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ চার ভাইয়ের নাম উঠে আসে। পরে এমপিকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আাসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন নাকচ করেন। এ মামলায় বর্তমানে আমানুর রহমান খান রানা কারাগারে রয়েছেন। বিচারিক আদালতে জামিন নাকচের পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ