শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সুনামগঞ্জে আ’লীগের দু’গ্রুপে বন্দুক যুদ্ধ ॥ গুলীতে নিহত ৩

দিরাই (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জে দিরাইয়ে কোটি টাকার জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দিরাই-শাল্লার সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে ৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে উভয় পক্ষের লোকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মতিউর রহমান গ্রুপের তাজুল ইসলাম(৩৫) নামের একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। শাহারুল ও উজ্জ্বল মিয়া নামে দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নেয়ার পথে রাস্তায় মারা যায়। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। উভয় পক্ষের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

 দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামসংলগ্ন জারলিয়া (ঘোড়ামারা সাতপাকিয়া) নামক জলমহালের দখল নিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অনুসারী যুবলীগ নেতা একরার হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক মিয়ার গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই জলমহালটি নিয়ে প্রতিবছরই সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে । বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমর্থন না পেয়ে একরার হোসেন মতিউর রহমানের গ্রুপে যোগ দিয়ে তার সমর্থনে কুলঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এর পর থেকেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও মতিউর রহমান গ্রুপের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমর্থনের প্রার্থীদের ভরাডুবি হলে মতিউর গ্রুপ আরও শক্তিশালী হয়। এরপর বিভিন্ন জলমহালে উভয় পক্ষের দখল নিয়ে সংঘর্ষের দানা বাঁধে। গতকাল জারলিয়া জলমহালে হাতিয়া গ্রামের সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া ও মতিউর রহমান অনুসারী যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের নেতৃত্বে দুই পক্ষ দখল নিতে গেলে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধে গুলীবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই একরার হোসেনের পক্ষের হাতিয়া (আকিলনগর) গ্রামের সোনা উল্লাহর ছেলে তাজুল ইসলাম(৩৫) নিহত হয়। বন্দুক যুদ্ধে গুলীবিদ্ধ ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহারুল(২৫) ও আমান উল্লার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া ( ২৮) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। বন্দুক যুদ্ধের বিষয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিল বন্দুক যুদ্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন জলমহাল দখল করতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিিবদ্ধ হয়ে এক পক্ষের ৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ