বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সাদুল্যাপুরের নিখোঁজ অপর দুই নেতাও বাড়ি ফিরল

গাইবান্ধা : সাদুল্যাপুরের নিখোঁজ ৪ নেতার অপর ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা মাইদুল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা শফিউল ইসলাম শাপলাও এবার ১১ দিন পর শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় দিকে বাড়ি ফিরেছে।

গাইবান্ধা সংবাদদাতা : সাদুল্যাপুরের নিখোঁজ ৪ নেতার অপর  ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা মাইদুল ইসলাম প্রিন্স ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা শফিউল ইসলাম শাপলাও এবার ১১ দিন পর গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় দিকে বাড়ি ফিরেছে।
এর আগে ১০দিন পর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বাড়ি ফিরে নিখোঁজ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সহ-সভাপতি ও দামোদরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারুল হাসান জীম মন্ডল এবং দামোদরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদেক।
এই ৪ নেতা নিখোঁজ হওয়ার পর সাদুল্যাপুর থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করে নিখোঁজদের পরিবারের লোকজন। এছাড়া তাদের সন্ধানের দাবিতে গত ১০ দিন ধরে উপজেলা শহর ও নলডাঙ্গায় মিছিল, মিটিং হরতাল-অবরোধ, মানববন্ধন, থানা ঘেরাও কর্মসূচি ও সংবাদ সম্মেলন করে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা। তাদের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের স্বজনদের তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু জেলা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও এই ১১ দিনে তাদের কোন সন্ধান দিতে পারেনি।
নিখোঁজ প্রিন্সের বড় ভাই নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম নয়ন জানান, শুক্রবার রাত দেড় টায় তার ভাই প্রিন্স মোবাইলে ফোন দিয়ে জানান, তারা দু’জন এখন দিনাজপুরের পারবর্তীপুর উপজেলার খোলাহাটির ট্যাক্সের হাট এলাকায় অবস্থান করছেন। এরপর সাদুল্যাপুর থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে গিয়ে তাদেরবাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্স জানান, কয়েকজন সাদা পোশাক পড়া লোক শুক্রবার রাত আনুমানিক একটায় তাদের চোখ বাধা অবস্থায় মাইক্রোবাসযোগে একটি ফাঁকা জায়গায় নেমে রেখে যায়। তারপর তাদেরকে জানান, সামনের সড়কে তোমার মোটর সাইকেল রাখা আছে ওটি নিয়ে সোজাবাড়ি চলে যাও।
তিনি আরো জানান, তারা দুইজন ওই মোটর সাইকেলযোগে সামনের দিকে কিছুদূর যাওয়ার পর দিনাজপুরের পারবর্তীপুর উপজেলার খোলাহাটির ট্যাক্সের হাট এলাকায় পৌঁছেন। সেখানে তারা দু’জন নিজেদের অসুস্থবোধ অনুভব করলে প্রিন্সের বড়ভাই চেয়ারম্যান নয়নকে ফোন করেন। পরে নয়ন মাইক্রোবাসযোগে রাত ৩টার দিকে এসে তাদেরকেবাড়ি নিয়ে আসেন।
মানষিকভাবে বিষন্ন নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলা জানান, কারা তাদের ধরে নিয়ে গেছেন এবং ১১ দিন তারা কোথায় ছিলেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে এক জায়গায় তাদেরকে পাশাপাশি কক্ষে চোখ বাধা অবস্থায় এ কয়েকদিন রাখা হয়েছিল।
তিনি আরো জানান, তাদের কোন জিনিস পত্র খোয়া যায়নি। এছাড়া এর মধ্যে তিনি অসুস্থ হলে ডাক্তার ডেকে এনে তার চিকিৎসাও করানো হয়েছে।
সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরহাদ ইমরুল কায়েস জানান, তাদের ফিরে আসার কথা শুনেছেন। তবে কিভাবে ফিরে এলেন। তা তিনি এখনও জানতে পারেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এমপি লিটন হত্যার পর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশসহ একাধিক আইনশৃংখলা বাহিনী তদন্ত কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় গত ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দামোদরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারুল হাসান জিম মন্ডল ও দামোদরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদেক লালবাজার থেকে  মোটরসাইকেলযোগে নলডাঙ্গা রওনা হয়। এরপর থেকে তারা  মোটরসাইকেলসহ নিখোঁজ। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নলডাঙ্গা কাচারি বাজার এলাকা থেকে ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শাপলাকে ও বেলা সাড়ে ১১টায় নলডাঙ্গা রেলগেট এলাকা থেকে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মোটর সাইকেলসহ তাদেরকে তুলে নিয়ে যায়।

সাঘাটায় তুচ্ছ ঘটনায় দোকান ভাংচুর ও লুটপাট
সাঘাটা উপজেলার টেপাপদুমশহর স্কুল বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার আব্দুল মজিদের ছেলে মুকুল মিয়ার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও মুকুলকে বেদম মারপিট করা হয়েছে।
জানাযায়, একই গ্রামের মৃত ছাইদুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান মিটার, আজহার আলীর ছেলে এনামুল হক, আবু আকন্দের ছেলে মন্টু ও ইয়াকুব আলীর ছেলে আব্দুর রউফ মাস্টার সংঘবদ্ধ হয়ে মুকুল মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে তাকে বেদম মারপিট করে। বর্তমানে সে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় তারা ক্যাশ বাক্সে থাকা ৮০ হাজার টাকা লুট করে এবং দোকানের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ